Advertisement
E-Paper

জ্বালানির দাম বাড়ছে না ফ্রান্সে

প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছিল, আগামী ছ’মাসের জন্য স্থগিত রাখা হবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত। কিন্তু চাপের মুখে পড়ে প্রধানমন্ত্রী এদুয়া ফিলিপ ঘোষণা করলেন, ২০১৯ সালের নয়া বাজেট বিল থেকে জ্বালানি কর বসানোর বিষয়টি বাদ দেওয়া হচ্ছে। 

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৫:২৩
বিক্ষোভ কিছুটা স্তিমিত হয়েছে ফ্রান্সে।—ছবি এএফপি।

বিক্ষোভ কিছুটা স্তিমিত হয়েছে ফ্রান্সে।—ছবি এএফপি।

লাগাতার বিক্ষোভ-প্রতিবাদের জেরে অবশেষে নরম সরকার। আগামী বাজেটে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করল ফ্রান্স।

প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছিল, আগামী ছ’মাসের জন্য স্থগিত রাখা হবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত। কিন্তু চাপের মুখে পড়ে প্রধানমন্ত্রী এদুয়া ফিলিপ ঘোষণা করলেন, ২০১৯ সালের নয়া বাজেট বিল থেকে জ্বালানি কর বসানোর বিষয়টি বাদ দেওয়া হচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রতিবাদকারীরা। তবে ক্ষোভের আঁচ পুরোপুরি নিভছে না। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ‘সিদ্ধান্ত নিতে বড্ড দেরি করে ফেলল সরকার।’

জ্বালানির লাগামছাড়া দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে সপ্তাহ তিনেক আগে পথে নেমেছিল ফ্রান্স। বিশেষত ডিজেলের উপর কর বসার সিদ্ধান্ত ঘিরে তৈরি হয় ক্ষোভ। কারণ, অনান্য জ্বালানির তুলনায় অপেক্ষাকৃত সস্তা হওয়ায় এত দিন ডিজেলই উপরেই ভরসা ছিল নাগরিকদের বড় অংশের। বিশেষত শহরের বাইরের বাসিন্দাদের। কিন্তু মাকরঁ জানিয়েছিলেন, জ্বালানির দাম না বাড়ালে পরিবেশ দূষণ ঠেকানো অসম্ভব।

প্রথমে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ পথে এগোলেই ধীরে ধীরে ‘ইয়েলো ভেস্ট’ প্রতিবাদ বিধ্বংসী আকার নেয় গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতেও। হলুদ জ্যাকেট পরা প্রতিবাদীরা যথেচছ তাণ্ডব চালান ফ্রান্সের রাস্তায়। পুড়িয়ে দেন অসংখ্য গাড়ি। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে মৃত্যু হয় চার জনের। চলে লাগাতার ধড়পাকড়ও। প্রেসিডেন্ট-বিরোধী স্লোগান ওঠে বিক্ষোভকারীদের মিছিল থেকে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে জরুরি অবস্থা জারির কথাও শোনা গিয়েছিল।

বুধবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে প্রধানমন্ত্রী ফিলিপ বলেন, ‘‘আগামী বাজেটে দাম বাড়ছে না জ্বালানির। সরকার আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।’’ প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগেই, সপ্তাহের শেষে আরও বড় বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন হলুদ জ্যাকেটধারীরা। গত কাল এক সাক্ষাৎকারে বিক্ষোভকারীদের এক নেত্রী জানিয়েছেন, জ্বালানির দাম বৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলনের শুরু ঠিকই। তবে মাকরঁ ‘নীরবতা’ তাতে ইন্ধন জুগিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘জনতা চান, প্রেসিডেন্ট সোজাসাপ্টা ভাবে নিজের দোষ স্বীকার করুন। যা নাগরিকদের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।’’

জ্বালানির দাম আপাতত না বাড়লেও শান্ত হচ্ছে না ফ্রান্স। ‘ইয়েলো ভেস্ট’ বিক্ষোভকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আগামী সপ্তাহে নতুন করে পথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে শ্রমিক ও কৃষক ও ছাত্র সংগঠন।

Protest Violence Yellow Vest Protest France Emmanuel Macron
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy