ফের বিতর্কে। ফাইল চিত্র।
সংরক্ষণ নিয়ে মাতামাতি করে লাভ নেই, কারণ দেশে পর্যাপ্ত কাজই নেই। এই মন্তব্য করে ফের বিতর্কে জড়ালেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। সংরক্ষণের দাবিতে মরাঠা ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের আন্দোলনের প্রেক্ষিতেই এই মন্তব্য করেন তিনি।
শুধু মন্তব্যই নয়, সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্নের উত্তরে তিনি পুরো বিষয়টি বিশদে বুঝিয়েও দেন। তাঁর অকপট স্বীকারোক্তি, ‘ধরে নেওয়া যাক সংরক্ষণ আছে, কিন্তু কাজ কোথায়? তথ্যপ্রযুক্তি আসার পর ব্যাঙ্কে কর্মসংস্থান কমেছে, সরকারি ক্ষেত্রেও নিয়োগ প্রায় বন্ধ।’
একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘পিছিয়ে পড়া’ শব্দটিই এখন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে। সবাই নিজেকে ‘পিছিয়ে পড়া’ প্রমাণ করতে ব্যস্ত। বিহার, উত্তরপ্রদেশে ব্রাহ্মণরা যথেষ্ট এগিয়ে। রাজনীতিতেও ব্রাহ্মণদের প্রাধান্য। অথচ তাঁরাও নিজেদের পিছিয়ে পড়া বলে দাবি করছেন। রীতিমত ব্যাখ্যা দিয়ে সংরক্ষণের যুক্তিকে ভুল প্রমাণ করতে চাইছিলেন গডকড়ী। আর তা করতে গিয়েই দেশে কর্মসংস্থানের বেহাল দশার ছবি সামনে নিয়ে এলেন কেন্দ্রের এই প্রভাবশালী মন্ত্রী।
এই প্রথম নয়, এর আগেও বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন আরএসএস ঘনিষ্ঠ এই বিজেপি নেতা।
নাগপুরে হেলমেট ছাড়া রাস্তায় বেরিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন গডকড়ী। ফাইল চিত্র।
নৌসেনা আধিকারিকদের দক্ষিণ মুম্বইতে আবাসনের জন্য জমি না দিয়ে তিনি বলেছিলেন, মুম্বইতে নৌসেনাকে এক ইঞ্চিও জমি দেওয়া হবে না, ভারত- পাকিস্তান সীমান্তেই সেনাদের থাকা উচিত। এছাড়া নরেন্দ্র মোদীর ট্রেডমার্ক শব্দবন্ধ ‘অচ্ছে দিন’ নিয়েও বলেছিলেন, এই স্লোগান আসলে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের। কিছুদিন আগে গণপিটুনির দায়ে অভিযুক্ত গোরক্ষকদের দেখতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বিহার বিজেপির নেতারা। তাঁদের হয়ে গডকরীর সাফাই ছিল, কে কাকে দেখতে যাবে তা তাঁদের নিজস্ব ব্যাপার।
আরও পড়ুন: মোবাইল অ্যাপে ভোট প্রচারেই কি সাফল্য ইমরানের!
আরও আগে ২০১৪ সালে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও নাগপুরে হেলমেট ছাড়া নিজের স্কুটারে করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদর দফতরে গিয়েও সারা দেশের নজর কেড়েছিলেন গডকড়ী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy