কার্যত ধ্বংসস্তূপ গাজ়া। ছবি: রয়টার্স।
হাতে মাত্র তিন ঘণ্টা সময়। তার মধ্যেই গাজ়া ভূখণ্ডের তুলনামূলক নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য সেখানকার বাসিন্দাদের অনুরোধ জানাল ইজ়রায়েলের সেনা। কার্যত গাজ়াবাসীকে প্রাণ হাতে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই সীমা পেরোনোর পরেই তারা গাজ়া ভূখণ্ডে সর্বাত্মক হামলা চালাতে চলেছে বলে জানিয়েছে ইজ়রায়েলি সেনা।
ইজ়রায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের তরফে রবিবার বলা হয়, “গাজ়া ভূখণ্ডের বাসিন্দা এবং উত্তর গাজ়ার বাসিন্দাদের আমরা আগেই অনুরোধ করেছিলাম যে, নিরাপত্তার কারণেই আপনারা দক্ষিণ দিকে সরে যান। আমরা এখন জানাতে চাই যে, সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত আমরা ওই অঞ্চলে কোনও দমনমূলক পদক্ষেপ করব না। এই সময়ের মধ্যে অনুগ্রহ করে আপনারা গাজ়ার উত্তরাংশ থেকে দক্ষিণ দিকে সরে যান।”
এর আগে ইজ়রায়েলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল যে, প্যালেস্তিনীয়দের গাজ়ার দক্ষিণ দিকে যেতে বাধা দিচ্ছেন হামাসের সদস্যেরা। প্যালেস্তিনীয়দের মানবঢাল হিসাবে ব্যবহারের চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছিল। ইজ়রায়েল প্রশাসন সূত্রে খবর, খুবই ঘিঞ্জি এবং জনবহুল এলাকা হওয়ার কারণে কেবল আকাশপথে হামলা করে গাজ়াকে নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। তাই গাজ়ায় এ বার স্থলপথেও হামলা চালাতে চাইছে তারা। হামাসকে জনবিচ্ছিন্ন করতে প্যালেস্তিনীয়দের দক্ষিণে পাঠিয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির মূল ঘাঁটি, গাজ়ার উত্তরাংশে হামলা চালাতে চাইছে ইজ়রায়েল।
এর আগে গাজ়ার বাসিন্দাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এলাকা ছেড়ে দিতে বলেছিল ইজ়রায়েল। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে এই নির্দেশের বিরোধিতা করা হয়েছিল। তাদের মুখপাত্র স্টেফান ডুজারিক একটি বিবৃতিতে বলেছিলেন, “রাষ্ট্রপুঞ্জ মনে করে যে, এই ধরনের পদক্ষেপে বিধ্বংসী পরিণতিই ঘটবে।” প্রসঙ্গত, গাজ়ার উত্তরাংশের হাসপাতালগুলি থেকে যে ভাবে মুমূর্ষু রোগীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তার নিন্দা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-ও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy