E-Paper

কৃত্রিম মেধাতেই শুমি-সাক্ষাৎকার, বরখাস্ত সম্পাদক

১৫ এপ্রিল প্রকাশিত ওই পত্রিকার প্রচ্ছদে ছিল মাইকেলের একটি ছবি। সঙ্গে শিরোনাম, মাইকেল শুমাখারের প্রথম সাক্ষাৎকার। তলায় ছোট ছাপার অক্ষরে লেখা, এই ছলনাময়ী লেখা সত্যি বলেও মনে হতে পারে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:৫০

দশ বছর আগে এক দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন তিনি। শরীর ও মনে তার জের এখনও বয়ে নিয়ে চলেছেন। ওই ঘটনার পর থেকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি ৭ বারের ফর্মুলা ওয়ান চ্যাম্পিয়ন মাইকেল শুমাখারকে। ঘনিষ্ঠ মহল ও খেলার দুনিয়া ভালবেসে শুমি নামে ডাকত তাঁকে। গতির দুনিয়ার সেই কিংবদন্তির এক সাক্ষাৎকার ছেপে সম্প্রতি হইচই ফেলে দিয়েছিল জার্মানির একটি পত্রিকা। তবে সেটি ছিল কৃত্রিম মেধার সাহায্যে বানানো নকল সাক্ষাৎকার মাত্র। পত্রিকায় সে কথার উল্লেখও ছিল। তবে বিষয়টি মোটেই ভাল চোখে নেয়নি মাইকেলের পরিবার। তাঁরা এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ করতে চলেছে বলে পত্রিকার দফতরে জানান। এর পরেই নড়েচড়ে বসেন কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার এক বিবৃতি দিয়ে ওই পত্রিকার মালিক গোষ্ঠীর তরফে জানানো হয়েছে, পত্রিকার প্রধান সম্পাদককে বরখাস্ত করা হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা তাঁরা সমর্থন করেন না।

১৫ এপ্রিল প্রকাশিত ওই পত্রিকার প্রচ্ছদে ছিল মাইকেলের একটি ছবি। সঙ্গে শিরোনাম, মাইকেল শুমাখারের প্রথম সাক্ষাৎকার। তলায় ছোট ছাপার অক্ষরে লেখা, এই ছলনাময়ী লেখা সত্যি বলেও মনে হতে পারে। ভুয়ো ওই সাক্ষাৎকারে মাইকেলের জবানিতে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার পর থেকে বদলে গিয়েছে তাঁর জীবন। পরিবারের উপরেও প্রভাব পড়েছে। তবে লেখার মাঝে এ কথাও বলা হয় যে সাক্ষাৎকারটি কৃত্রিম মেধা-জাত।

বিষয়টি নিয়ে মাইকেলের পরিবার আপত্তি জানাতেই নড়েচড়ে বসেন কর্তৃপক্ষ। তাঁরা বিবৃতি দিয়ে জানান, পত্রিকাটি বা তার পাঠককুল যে ধরনের সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করেন, এই সাক্ষাৎকার সেই মানের ধারেকাছেও নয়। এই ধরনের কাজ তাঁরা সমর্থন করেন না। পাশাপাশি তাঁরা জানান, ওই ঘটনার জেরে রবিবার থেকে পত্রিকার প্রধান সম্পাদক অ্যান হফম্যানকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

দুর্ঘটনার ঠিক আগের বছর, ২০১২-তে গতির দুনিয়া থেকে অবসর নিয়েছিলেন মাইকেল। বিভিন্ন সূত্রের দাবি, পরের বছর দুর্ঘটনার ফলে মাইকেলের মস্তিষ্কের একটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার প্রভাব পড়ে কিংবদন্তির কথাবার্তা ও স্মৃতির উপরেও। গত ১০ বছর ধরে লোকচক্ষুর অন্তরালে রয়েছেন ৫৪ বছরের মাইকেল। ২০২১ সালে এক তথ্যচিত্রে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাইকেলের স্ত্রী জানান, ‘‘জেনিভায় পরিবারের সঙ্গে নিভৃতে জীবন কাটাচ্ছেন মাইকেল। তিনি এমনই চান। আমরা ওঁকে পুরোপুরি সুস্থ করে তোলার জন্য সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Michael Schumacher magazine Formula One

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy