ছবি রয়টার্স।
এক দিকে প্রতিষেধকের সঙ্কট। অন্য দিকে ফের হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই দুইয়ের মোকাবিলায় নতুন করে লকডাউনের পথে হাঁটতে চলেছে জার্মানি। দেশের ১৬টি প্রদেশের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ ভিডিয়ো বৈঠকের পরে মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল।
প্রশাসন সূত্রের খবর, ২৮ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় এক মাস লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা ভাবা হয়েছে। তবে ১ থেকে ৫ এপ্রিল ইস্টারের সময়ে পাঁচ দিন কড়া ভাবে লকডাউন বিধি বলবৎ করা হবে। ওই পাঁচ দিন সমস্ত দোকানপাট, বাজার, দফতর বন্ধ থাকবে। কোনও রকম জমায়েত বন্ধ রাখতে হবে। ধর্মীয় কার্যকলাপ অনলাইনেই চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাকি দিনগুলোয় বিধি মেনে জরুরি পণ্যের দোকান খুলবে। তবে বিনোদন, ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলি ১৮ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে জনবহুল দেশ জার্মানিতে এখন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ব্রিটেন স্ট্রেন। এ দেশে সংক্রমণের হার এখন আমেরিকার থেকেও বেশি। ম্যার্কেল বলেন, ‘‘অতিমারির নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। আমাদের সামনে এখন একটি নতুন ভাইরাস... এটি আরও ভয়ঙ্কর। অনেক বেশি সংক্রামক।’’ তাঁর মতে, জার্মানির পরিস্থিতি গুরুতর। আক্রান্তের সংখ্যা রোজ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। দ্রুত জায়গা কমছে হাসপাতালের আইসিইউ-য়ে। মাঝে সংক্রমণ খানিকটা কমায় বেশ কিছু প্রদেশে স্কুল খুলতে শুরু করেছিল। যে সমস্ত স্কুল খুলে গিয়েছে সেখানের পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র মতে, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গণটিকাকরণ জরুরি। সব দেশের করোনা যোদ্ধা এবং প্রবীণদের আগে টিকা দেওয়া প্রয়োজন। অভিযোগ, ধনী দেশগুলি প্রথম পর্যায়ের সেই টিকাকরণ শেষ করে, এখন তরুণদের টিকা দেওয়া শুরু করে দিয়েছে। অথচ বহু গরিব দেশে প্রথম শ্রেণির করোনা যোদ্ধারা এখনও টিকা পাননি। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন হু-এর শীর্ষ আধিকারিক টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস।
গত বছর ঠিক এই দিনেই ব্রিটেনে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। গত এক বছরে করোনায় সে দেশে এক লক্ষ ছাব্বিশ হাজারের বেশি মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এ দিন পার্লামেন্টে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন সদস্যেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy