E-Paper

হাসিনার বাসভবনের বিশাল জলাশয়ে চরে বেড়াত, সেই রাজহাঁসের ঠাঁই হয়েছে এক চিলতে ফ্ল্যাটের বারান্দায়!

আজ সমাজমাধ্যম ফেসবুকে মুখ খুলেছেন সেই যুবক নাহিন মুনকার। তাঁর দাবি, সোমবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যখন লুটতরাজ চলছিল, তখন সেখানে ছিলেন তিনি। তাঁর চোখে পড়ে, এক কোনে দাঁড়িয়ে রয়েছে খরগোশটি। ভয়ে থরথর করে কাঁপছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৫৯
ফ্লাটের বারান্দায় সেই রাজহাঁস। খরগোশ কোলে নাহিন।

ফ্লাটের বারান্দায় সেই রাজহাঁস। খরগোশ কোলে নাহিন। ছবি: সমাজমাধ্যম।

এত দিন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বিশাল জলাশয়ে চরে বেড়াত। এখন ঠাঁই হয়েছে এক চিলতে ফ্ল্যাটের বারান্দায়। নতুন মালিক মেঝেতেই একটু জল ঢেলে দিয়েছেন। ডানা ঝাপটানো দূরের কথা, আপাতত পা-টুকু ভেজাতে পেরেই মনে হয় হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যাওয়া সেই রাজহাঁস। সাদা ধবধবে খরগোশটার ভাগ্য সুপ্রসন্ন কি না, তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। খরগোশটির দু’টি ছবি সোমবার সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। একটি ছবিতে দেখা যায়, জনৈক বাংলাদেশি যুবকের কোলে রয়েছে খরগোশটি। আর একটি ছবিতে চার সদ্যোজাত সন্তানের সঙ্গে রয়েছে সেই ‘মা’ খরগোশ। ছানাদের কাছ থেকে ‘মা’কে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ছবির যুবককে অনেকেই ভর্ৎসনা করেন।

আজ সমাজমাধ্যম ফেসবুকে মুখ খুলেছেন সেই যুবক নাহিন মুনকার। তাঁর দাবি, সোমবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যখন লুটতরাজ চলছিল, তখন সেখানে ছিলেন তিনি। তাঁর চোখে পড়ে, এক কোনে দাঁড়িয়ে রয়েছে খরগোশটি। ভয়ে থরথর করে কাঁপছে। নাহিনের কথায়, ‘কোনও অনিষ্ট করতে নয়, ওকে প্রাণে বাঁচাতেই আমি কোলে তুলে নিয়েছিলাম। আমার বাসায় পশু-পাখি রাখার সমস্যা। তাই এক জন আমার কাছে খরগোশটি চাইলে আমি তাকে সেটি দিয়ে দিই। দেওয়ার আগে তাকে দিয়ে কবুলও করিয়ে নিই যে, সে নিরীহ পশুটির কোনও ক্ষতি করবে না।’ নাহিনের দাবি, ওটি একটি পুরুষ খরগোশ, ফলে ‘মা খরগোশকে’ তার ছানাদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা ঠিক নয়। নাহিনের এই পোস্টটি তাদের পেজে শেয়ার করেছে অ্যানিমাল রেসকুয়ার্স বাংলাদেশ (এআরবি) নামের একটি সংগঠন।


সোমবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে তছনছ চালানোর সময়ে হামলাকারীদের হাতে পড়ে যায় গণভবনের চত্বরে ঘুরে বেড়ানো পোষা পশুপাখি। অনেকেই কোলে-কাঁখে সেই সব হাঁস, খরগোশ , ছাগল বা মাছ কোলে নিয়ে ছবি পোস্ট করেছিলেন সমাজমাধ্যমে। যা দেখে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বহু পশুপ্রেমী মানুষ ও সংগঠন। বিশেষ করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পোষ্য কুকুর ও বিড়ালের দুর্দশা দেখে অনেকেই গণভবনে লুট করতে আসা মানুষজনের নিন্দা করেছেন। এখন কী অবস্থায়, কোথায় রয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পোষ্য দুই মার্জার, জানা যায়নি। হাসিনার একটি পোষ্য জার্মান শেপার্ডকে গলায় মোটা চেন দিয়ে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেই ছবিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েছে। তবে জানা যায়নি, কোথায় রয়েছে হাসিনার প্রিয় গোল্ডেন রিট্রিভার ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bangladesh Unrest Goose Rabbit Sheikh Hasina Bangladesh Crisis Bangladesh

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy