সিডনি যখন গত কাল কচিকাঁচাদের বিক্ষোভে উত্তাল, নিউ ইয়র্ক তখনও ঘুমিয়ে। যদিও চোখে ঘুম নেই গ্রেটা থুনবার্গের। ১৬ বছর বয়সি সুইডিশ পরিবেশ আন্দোলনকারী গ্রেটা এখন নিউ ইয়র্কে। সিডনির ছবি দেখে উত্তেজনায় একের পর এক পোস্ট করে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর জানিয়েছে, ‘শুক্রবার ভোর হওয়ার অপেক্ষা’।
দিন গড়াতেই ম্যানহাটনের রাস্তায় জনসমুদ্র। কাতারে কাতারে লোক। ছোটদের সঙ্গে সমান তালে পা মেলালো বড়রাও। পুরোভাগে অবশ্যই গ্রেটা। সামনের সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে শুরু হচ্ছে রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিবেশ সম্মেলন। তার আগে রাষ্ট্রনেতাদের কাছে বার্তা পৌঁছে দিতে চান আন্দোলনকারীরা, সরকার জলবায়ু পরিবর্তনকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া না পর্যন্ত, এই লড়াই চলবে। পড়ুয়ারা বলছে, ‘‘দেখিয়ে দেব আমরা, ছোটরাও বড় পরিবর্তন আনতে পারে।’’
গ্রেটাই তা দেখিয়ে দিয়েছে। গত বছর অগস্ট মাসে কেউ চিনত না সুইডিশ কিশোরীটিকে। প্রথম সংবাদ শিরোনামে আসে সে, যখন খবর হয়, সুইডিশ পার্লামেন্টের বাইরে একটি বাচ্চা মেয়ে রোজ প্ল্যাকার্ড হাতে বসে থাকে। তাতে লেখা, ‘পরিবেশের জন্য স্কুল বন্ধ’। কেউ তার পরিবেশ আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তুললে গ্রেটা বলত, ‘‘আমার কথা শুনতে হবে না, বিজ্ঞানীদের কথা শুনুন।’’ এক-এক করে সে পাশে পায় তারই মতো আরও কিছু পড়ুয়াকে। শুক্রবার সেই সংখ্যাটা লক্ষ ছাড়িয়েছে। গোটা বিশ্বের দেড়শোরও বেশি দেশের পড়ুয়ারা একযোগে স্কুল না গিয়ে বিক্ষোভে শামিল হয়েছে গত কাল। পথে নেমেছে বড়রাও। সান ফ্রান্সিসকো ও সিয়াটলে গুগল, আমাজ়ন ও অন্য বেশ কিছু প্রযুক্তি সংস্থার বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে তাদের কর্মীরাই। তাঁদের বক্তব্য, বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে উদাসীন মালিকপক্ষ।