বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনও উদ্বেগজনক। কাটেনি সঙ্কট। হাসপাতাল সূত্রকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শরীরে বিভিন্ন জটিলতা রয়েছে। তবে চিকিৎসায় সাড়া দেওয়া আশাবাদী চিকিৎসকেরা। খালেদার অবস্থার যদি কোনও রকম উন্নতি না-হয় তবে খুব শীঘ্রই বাংলাদেশে ফিরবেন তাঁর পুত্র তারেক রহমান, বিএনপি সূত্রে এমনই খবর।
সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, খালেদার হৃদ্যন্ত্র, যকৃৎ, কিডনি এবং ফুসফুসে নানা ধরনের সমস্যা রয়েছে। সেই সব জটিলতা এখনও কাটেনি। হাসপাতালের এক সূত্রে খবর, বুধবার চিন এবং ব্রিটেন থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দু’টি দল ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি নেত্রীকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে পরিবার এবং দলের। কিন্তু তাঁর যা শারীরিক অবস্থা, তাতে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত চিকিৎসকেরাই। তাই বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞদের দল গিয়ে ঢাকার হাসপাতালে খালেদার শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা করবেন। খালেদাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া সম্ভব কি না, তা বুধবার চূড়ান্ত হতে পারে বলে বিএনপি সূত্রে খবর। তবে তাঁকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে, তা এখনও চূড়ান্ত নয়।
আরও পড়ুন:
সোমবার রাত থেকেই ঢাকার ওই হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করা হয়েছে। হাসপাতালের মূল গেটের বাইরে ব্যারিকেড বসিয়েছে পুলিশ। সূত্রের খবর, খালেদার নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে দুই ডজনের বেশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে হাসপাতাল চত্বরে।
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদাকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসাবে ঘোষণা করেছে মুহাম্মদ ইউনূসের তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তার পর থেকেই তাঁর নিরাপত্তা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে বাংলাদেশের স্পেশ্যাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)।