প্রতীকী ছবি।
আফগানিস্তানে আকাশ ছুঁয়েছে হিজাব, বোরখা, পাগড়ির দাম। কোথাও কোথাও দোকান খুলিয়ে দশগুণ বেশি দাম দিয়ে হিজাব কিনছে আম আফগানি। সবচেয়ে সমস্যায় আফগান নারীরা। তালিবানের কাবুলের তখ্ত দখলের পরই লাফিয়ে আকাশ ছুঁয়েছে হিজাবের দাম।
প্রথম দফায় তালিবানি ফতোয়া ছিল, শরীর সম্পূর্ণ না ঢেকে মহিলারা বাড়ির বাইরে বেরোতে পারবেন না। স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। বাড়ির বাইরে বেরোতে পারতেন না মহিলারা। তারপর কাবুল নদী দিয়ে বহু জল বয়ে গিয়েছে। তালিবান ফের ফিরেছে কাবুলের তখতে। এ বার কী হবে, এখন এই আশঙ্কায় কাঁপছেন আফগান নারীরা।
আমেরিকার সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে এক আফগান মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর বাড়িতে মাত্র ২টি বোরখা আছে, কিন্তু বাড়িতে মহিলা সদস্য ৩ জন। দোকান বাজার বন্ধ, ফলে কেনাও যাচ্ছে না। আর দোকান খোলা পাওয়া গেলেও অন্তত দশগুণ বেশি দাম দিয়ে বোরখা-হিজাব কিনতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে বাড়ির বিছানার চাদর কেটে বোরখা বানানোর পরিকল্পনা করছেন তাঁরা।
দ্বিতীয়বার কাবুল দখলের পর তালিবান কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে, মহিলাদের বাইরের কাজকর্ম থেকে বঞ্চিত রাখা হবে না, কিন্তু শরিয়তি আইন মেনেই সব ঠিক করা হবে। কিন্তু স্রেফ মুখের কথায় ভরসা রাখতে পারছেন না এক দফা তালিবানি শাসনের অভিজ্ঞতা থাকা আফগানিস্তান, বিশেষ করে নারীরা।
নিরাপদে নেই পুরুষরাও। মাথায় পাগড়ি বাধ্যতামূলক ছিল প্রথম তালিবান জমানায়। এ বার এখনও নয়া ফতোয়া জারি না হলেও অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে পাগড়ি মাথায় তুলতে হুড়োহুড়ি শুরু হয়েছে আফগান মহল্লায়।
সব মিলিয়ে, তালিবান নিজেকে বদলানোর দাবি করলেও তাতে ভরসা রাখতে পারছেন না ঘর পোড়া আফগানিরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy