ফাইল চিত্র।
তালিবান-রাজত্বে যে সবচেয়ে আতঙ্কে রয়েছেন মহিলারা, তা নিয়ে প্রতিনিয়তই রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে। উঠে আসছে নানা দাবি। এমনকী মৃত্যুর পরও তালিবানের হাত থেকে নিস্তার মেলার কোনও সম্ভাবনা নেই। সম্প্রতি প্রাণ হাতে করে কাবুল থেকে দিল্লি পৌঁছনোর পর এমনই অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন সে দেশের এক মহিলা পুলিশকর্মী।
মুসকান নামে ওই মহিলা দিল্লি পৌঁছনোর পর একটি সংবাদমাধ্যমের কাছে চোখের সামনে দেখা নিজের সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন। তিনি আফগান মহিলা পুলিশে কর্মরত ছিলেন। দেশের সিংহভাগ তালিবদের দখলে চলে আসার পর মুসকান বুঝে গিয়েছিলেন বাঁচতে গেলে আর সে দেশে থাকা যাবে না। তাই বিমানে সরাসরি দিল্লি চলে এসেছেন।
মহিলাদের প্রতি তালিবরা যে কতটা নৃশংস হতে পারে, তার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, প্রতিটি বাড়ি থেকেই অন্তত একজন মহিলাকে তারা তুলে নিয়ে যায়। তাঁদের ধর্ষণ করে খুন করে তারা। তাদের মধ্যে নাকি এমন অনেকেই রয়েছে, যারা আবার মৃতদেহগুলিকে ধর্ষণ করে আনন্দ পায়। পরিবারের মহিলারা যদি উপার্জন করেন, তাহলে তাঁদের লাগাতার হুমকির মুখে পড়তে হয়। প্রথম হুমকিতে কাজ না হলে আর দ্বিতীয় হুমকির জন্য অপেক্ষা করে না তারা। প্রথম হুমকির পরও যদি সেই মহিলাকে বাড়ির বাইরে দেখেছে, তো তখনই তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়। সম্প্রতি এমন এক ভিডিয়োও নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, বাইরে বেরোনো মধ্যবয়সি এক মহিলাকে মাথায় গুলি করে খুন করল এক তালিব নেতা।
এমনকী রেহাই পান না পুরুষেরাও। বিশেষ করে পরিবারের পুরুষেরা যদি কোনও না কোনও সরকারি কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাহলে একই পরিণতি হয় তাঁদেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy