সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে পলায়ন করেছেন শেখ হাসিনা। ভেঙে দেওয়া হয়েছে আইনসভা। পতন ঘটেছে এক টানা প্রায় দেড় দশক ধরে চলা আওয়ামী লীগ সরকারের। এই দেড় দশকে বাংলাদেশের ঘাড়ে ঋণের বোঝা চেপেছে সাড়ে ১৫ লাখ কোটি টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রায়)। ভারতীয় মুদ্রায় যা ১০ লাখ কোটি টাকারও বেশি। বাংলাদেশি সংবাদপত্র ‘বণিক বার্তা’র প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানিয়েছে ‘বিবিসি বাংলা’।
বাংলাদেশ অর্থ মন্ত্রকের তথ্য উদ্ধৃত করে ‘বিবিসি বাংলা’-য় প্রকাশ, ২০০৯ সালে যখন হাসিনা সরকার গঠন করেন, তখন বাংলাদেশ সরকারের ঋণ ছিল সে দেশের মুদ্রায় ২ লাখ ৭৬ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। সেখান থেকে ঋণের বোঝা বাড়তে বাড়তে এখন হয়েছে ১৮ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা (ভারতীয় মুদ্রায় ১৩ লাখ কোটি টাকারও বেশি)। দেড় দশকে প্রায় ৮৫ শতাংশ বেড়েছে ঋণের অঙ্ক। হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পলায়নের সময় এটাই ছিল সে দেশের মোট ঋণের অঙ্ক। দেশ ও দেশের বাইরের একাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে এই ঋণ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশে হাসিনার ইস্তফার পর ভেঙে দেওয়া হয়েছে আইনসভা। গঠন হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এমতাবস্থায় এই বিপুল অঙ্কের ঋণও ভাবাচ্ছে বাংলাদেশকে।
উল্লেখ্য, করোনা অতিমারি পরবর্তী সময় থেকেই টলমল বাংলাদেশের অর্থনীতি। এখনও চলছে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা। সাম্প্রতিক কয়েক মাসে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ১০ শতাংশের কাছাকাছি। চলতি বছরের জুনে যখন বাংলাদেশের বাজেট পেশ হয়েছিল, সেখানে মুদ্রাস্ফীতির হার ৬ শতাংশে নামানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। গত জুন মাসেই আইএমএফ-এর থেকে ১.১৫ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সাহায্য পেয়েছে বাংলাদেশ।