Advertisement
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
Bangladesh

বাংলাদেশের মসজিদে খুলল দান সিন্দুক, মিলল ২৯ বস্তা টাকা! সঙ্গে প্রচুর সোনার গয়না, বৈদেশিক মুদ্রা

প্রতি তিন-চার মাস অন্তর বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের এই মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়। শনিবার দান সিন্দুক খোলার পর তা থেকে ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছে। সঙ্গে মিলেছে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গয়না।

শনিবার সকালে বাংলাদেশের পাগলা মসজিদে দান সিন্দুকের টাকা গোনা চলছে।

শনিবার সকালে বাংলাদেশের পাগলা মসজিদে দান সিন্দুকের টাকা গোনা চলছে। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ২০:২৬
Share: Save:

বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে পাগলা মসজিদে শনিবার ফের দানের টাকা গোনা শুরু হয়েছে। মোট ১১টি দান সিন্দুকের টাকা গোনা চলছে। ভারতীয় সময় অনুসারে, শনিবার সকাল সাতটা নাগাদ দান সিন্দুক খোলা হয়। তা থেকে পাওয়া যায় ২৯ বস্তা টাকা। সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে সোনার অলঙ্কার এবং বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া গিয়েছে। ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুসারে, টাকা গোনা শুরুর প্রথম চার ঘণ্টাতেই ভারতীয় মুদ্রায় ৪ কোটি ২৫ লাখ টাকার বেশি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ কোটি টাকা) পাওয়া গিয়েছে। খুচরো টাকা গোনার কাজ এখনও চলছে। পাগলা মসজিদের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অতীতে মসজিদে দানের সব রেকর্ড ছাপিয়ে যেতে পারে এ বারের গণনায়।

এর আগে অগস্ট মাসে এই মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়। তখন ৯টি দান সিন্দুক থেকে ২৮টি বস্তা পাওয়া যায়। তাতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ কোটি ২২ লাখের বেশি টাকা মেলে। এ বার দান সিন্দুকের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি সিন্দুকের ভিতর থেকে পাওয়া বস্তার সংখ্যাও আগের তুলনায় বেশি। এ ছাড়া সোনার গয়না, হীরে এবং বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া যায় সে সময়ে।

প্রতি তিন-চার মাস অন্তর বাংলাদেশের করিমগঞ্জের এই মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়। ‘প্রথম আলো’ অনুসারে, এই দানের টাকা কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসায় অনুদান হিসাবে দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্তদেরও সাহায্য করা হয়। শনিবার সকাল থেকে ৭০ জন ব্যাঙ্ক কর্মী, মসজিদ কমিটি এবং পুলিশকর্মীরা মিলে প্রায় সাড়ে ৩০০ জন মসজিদের দান সিন্দুকের টাকা গণনা শুরু করেন।

শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বড় মন্দির, গির্জা, গুরুদ্বার কিংবা মসজিদে প্রচুর পরিমাণে দান হয়। উদাহরণ হিসাবে অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি মন্দির কিংবা পঞ্জাবের স্বর্ণ মন্দিরে প্রতি বছরে হাজার হাজার ভক্ত দান করেন। সেই অর্থ উপাসনাস্থলের উন্নয়ন এবং অন্য সামাজিক কাজকর্মে ব্যয় হয়।

অন্য বিষয়গুলি:

Bangladesh dhaka
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy