যদি ভ্যাকসিন প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন করোনাভাইরাস স্ট্রেনের উৎপত্তি ঘটে, আরও ৫ লক্ষ মৃত্যু দেখতে হবে। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের ৪টি স্ট্রেন (ভ্যারিয়্যান্টস) সম্পর্কে উদ্বেগের এই বার্তা দিয়েছেন আমেরিকাবাসী ভারতীয় চিকিৎসক তথা পুলিৎজার পুরস্কারজয়ী ক্যানসার বিশেষজ্ঞ সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়। আমেরিকা সরকারের স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শদাতা কমিটির প্রাক্তন সদস্য পরামর্শ দিয়েছেন নয়া ভাইরাস প্রজাতিগুলি মোকাবিলায় ‘করণীয়’ সম্পর্কেও।
ধারাবাহিক ৭টি টুইটের গোড়াতেই সিদ্ধার্থ লিখেছেন, ‘আমরা কোভিড যুদ্ধে পিছিয়ে পড়ছি’। তাঁর উদ্বেগের কারণ, নভেল করোনাভাইরাসের অন্তত চারটি নয়া প্রজাতি। লন্ডন, মানাউস (ব্রাজিল), জাপান এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় যাদের উৎপত্তি। এদের মধ্যে লন্ডন ভ্যারিয়্যান্ট (ব্রিটেনে পাওয়া করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতি। যেটিকে ভিইউআই-২০২০১২/০১ অথবা বি.১.১.৭ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে) সবচেয়ে বেশি সংক্রামক। মানাউস এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রজাতির ক্ষেত্রে সংক্রমণের পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা বেশি।
সিদ্ধার্থ তাঁর তৃতীয় এবং চতুর্থ টুইটে লিখেছেন, ‘এই মুহূর্তে আমি আমেরিকার করণীয় সম্পর্কে একটি পথই দেখতে পাচ্ছি— অবিলম্বে ভ্যারিয়্যান্টগুলিকে পৃথক ভাবে চিহ্নিত করে নজরবন্দি (আক্রান্তদের) করা। দ্রুততার সঙ্গে টিকাকরণ চালিয়ে যাওয়া এবং অন্য দেশগুলির পথ অনুসরণ করে দেশে (আমেরিকায়) ঢোকার আগে নেগেটিভ পিসিআর পরীক্ষা নিশ্চিত করা’।