Advertisement
০৪ ডিসেম্বর ২০২৩
Ban on Non-Basmati White Rice

বাসমতী ছাড়া চাল রফতানি বন্ধ, দিল্লির সিদ্ধান্তে আমেরিকায় চাল কিনতে চুলোচুলি প্রবাসীদের

প্রকাশ্যে এল আমেরিকার টেক্সাসের ডালাস শহরের একটি ভিডিয়ো। যেখানে চাল সংগ্রহ করতে রীতিমতো উন্মত্ত হয়ে উঠেছে জনতা। সেই জনতার ভিড়ে রয়েছেন প্রবাসী ভারতীয়েরাও।

India bans Non-Basmati rice export, people in America buying in excess price

চাল কিনতে হুড়োহুড়ি টেক্সাসের ডালাস শহরে। ছবি: টুইটার।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
টেক্সাস শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৩ ১৪:২৮
Share: Save:

বাসমতী নয়, এমন চাল রফতানির উপর সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত। যার জন্য সমস্যায় পড়েছে বহু দেশ। তবে সব থেকে বেশি বিপদে পড়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয়েরা। বিশ্ববাজারে চাল রফতানি করা দেশগুলির মধ্যে অন্যতম প্রধান দেশ ভারত। তাই গত সপ্তাহে সরকারের এই ঘোষণার পর বিভিন্ন দেশে হইচই পড়ে গিয়েছে। আগে থেকে মজুত থাকা চালের দাম বেড়েছে বিভিন্ন দেশে। সেই চাল কিনতে রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে। উদ্বেগ ছড়িয়েছে প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যেও। আমেরিকার বিভিন্ন স্টোরে মজুত থাকা চাল কিনতে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা গিয়েছে। সেই আবহেই প্রকাশ্যে এল আমেরিকার টেক্সাসের ডালাস শহরের একটি ভিডিয়ো। যেখানে চাল সংগ্রহ করতে রীতিমতো উন্মত্ত হয়ে উঠেছে জনতা। সেই জনতার ভিড়ে রয়েছেন প্রবাসী ভারতীয়েরাও। একে অপরের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করে, টেনেহিঁচড়ে চলছে সেই চাল সংগ্রহ। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে ওয়াশিংটনে বসবাসকারী ভারতীয় প্রবাসী অরুণা বলেন, ‘‘সকাল ৯টা থেকে চাল কেনার জন্য বেরিয়েছিলাম। ১০টা দোকান ঘুরেছি। বিকাল ৪টে অবধি চাল কেনার সেই যুদ্ধ চলে। শেষ পর্যন্ত স্বাভাবিকের থেকে তিন গুণ দামে একটি চালের ব্যাগ হাতে পাই।’’

মূল্যবৃদ্ধির জেরে ভারতে চালের দাম দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। তাই দেশবাসীকে যাতে বেশি দামে চাল কিনে না খেতে হয়, তার জন্যই বাসমতী নয়, এমন চাল রফতানির উপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বলে সরকার জানিয়েছে। পাশাপাশি দেশীয় ক্রেতাদের কাছে সব রকম চাল যাতে সারা বছর মজুত থাকে, সেই উদ্দেশ্যেও এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই সরকার সূত্রে খবর। যদিও বাসমতী চালের রফতানি এখনও বন্ধ করেনি ভারত।

আমেরিকার মেরিল্যান্ডের এক পাইকারি বিক্রেতা ‘স্বপ্না ফুডস’-এর মালিক তরুণ সারদানা সে দেশে চালের চাহিদা বৃদ্ধির কথা জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কাছে রোজ প্রচুর ফোন আসছে। সপ্তাহান্তে সেই চাহিদা আরও বেশি। সবাই চাল রেখে দেওয়ার কথা বলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE