কাশ্মীর-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে ভারতের বিরোধিতা করার জেরে মালয়েশিয়ার পাশাপাশি তুরস্ক থেকেও আমদানি কমানোর বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করল সাউথ ব্লক। কিন্তু আন্তর্জাতিক স্তরে যাতে ভুল সংকেত না যায়, তার জন্য কিছুটা নরম বিবৃতি দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল আজ জানিয়েছেন, আমদানি নীতি নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা কোনও বিশেষ একটি বা দু’টি রাষ্ট্রের স্বার্থকে আঘাত করতে নয়। দেশের স্বার্থের নিরিখেই তা নেওয়া হয়েছে। এবং সেই ‘নিয়ন্ত্রণ’ শুধু মালয়েশিয়া নয়, সব দেশের জন্যই প্রযোজ্য।
সাউথ ব্লক সূত্রের খবর, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ প্রত্যাহার করা নিয়ে ভারতের বিরোধিতা করা, আন্তর্জাতিক আর্থিক নজরদারি সংস্থার (এফএটিএফ) কালো তালিকা থেকে ইসলামাবাদকে বাঁচানোর ধারাবাহিক চেষ্টা করে যাওয়ার মতো বিষয়গুলি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের সঙ্গে তুরস্কের টানাপড়েন চলছে। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার থেকে পাম তেল আমদানি কমানোর পাশাপাশি তুরস্ক থেকেও তেল এবং ইস্পাত আমদানি কমানোর চিন্তা শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আজ এই প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রভীশ কুমার বলেছেন, ‘‘কোনও দেশ থেকে আমদানি বাড়ানো হবে না কমানো হবে, তা একান্ত ভাবেই আমদানিকারী দেশটির বিবেচনার উপর নির্ভর করে। সে দেশের বাণিজ্যিক চাহিদার উপর নির্ভর করে। তবে এ কথাও ঠিক, যে দেশ থেকে আমদানি করা হবে তার সঙ্গে আমদানিকারী দেশের সম্পর্ক কেমন, তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।’’