Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
International News

উত্তাপ কমাতে হ্যানয় থেকে দিল্লি, ইসলামাবাদে পম্পেওর তিনটি ফোন!

একটি ফোন আসে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের কাছে, অন্যটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের টেলিফোন নম্বরে। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই মার্কিন বিদেশসচিবের ফোন পৌঁছয় পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির কাছে।

মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মাইক পম্পেও। ছবি-এএফপি

মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মাইক পম্পেও। ছবি-এএফপি

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৯ ১৩:৪৫
Share: Save:

এ-দিকে দু’টি ফোন। ও-দিকে একটি। তিনটি ফোনেই দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে উত্তেজনার পারদ নামিয়ে দিতে পেরেছিলেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও। ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয় থেকে পম্পেওর দু’টি ফোন এসেছিল, দিল্লিতে। তখন তাঁর পাশে ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

একটি ফোন আসে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের কাছে, অন্যটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের টেলিফোন নম্বরে। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই মার্কিন বিদেশসচিবের ফোন পৌঁছয় পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির কাছে।

ভারত, আমেরিকা বা পাকিস্তানের কোনও গোয়েন্দা সংস্থা নয়, এই খবর দিয়েছেন মার্কিন বিদেশ দফতরের উপ মুখপাত্র রবার্ট পাল্লাডিনো। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে পাল্লাডিনো বলেন, ‘‘কূটনীতিকের কাজটা নিজেই দায়িত্ব নিয়ে করেছিলেন পম্পেও। তিনি-তিনটে ফোন করেছিলেন ভারত ও পাকিস্তান সীমান্তের এ-পার, ও-পারে। আর সেটাই দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার পারদ দ্রুত নামিয়ে দেয়।’’

কোনও রাখঢাক না রেখেই পাল্লাডিনো জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন চায়, সমস্যা মেটাতে যুদ্ধ নয়, আলোচনায় বসুক দিল্লি ও ইসলামাবাদ। তাঁর কথায়, ‘‘ভিতটা তৈরি করে দিয়েছেন পম্পেও। এ বার সেই নিজেদের মধ্যে সেই আলোচনাটা চালিয়ে যাক ভারত ও পাকিস্তান। দু’টি দেশের কাছেই আমাদের এই অনুরোধ। এখন যা অবস্থা, তাতে দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাধলেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কটা একেবারেই শেষ হয়ে যাবে।’’

আরও পড়ুন- ১৯০০ ভারতীয় পণ্যের উপর শুল্ক চাপালেন ট্রাম্প​

আরও পড়ুন- ‘জঙ্গি ঘাঁটিতে ৩০০ মোবাইল কি গাছেরা ব্যবহার করছিল’, বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণ রাজনাথের​

পাল্লাডিনো জানিয়েছেন, ওই সময় উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গেই হ্যানয়ে ছিলেন মার্কিন বিদেশসচিব।

পম্পেও টেলিফোনে পাক বিদেশমন্ত্রী কুরেশিকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নির্দেশ মেনে চলার অনুরোধ জানান। বলেন, রাষ্ট্রপুঞ্জ যেমন বলেছে, সেই মতো পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে থাকা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে শুরু করুক ইসলামাবাদ। সেই ব্যবস্থা নেওয়ার যেন গ্রহণযোগ্য প্রমাণও থাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE