পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়াল ভারত।—ছবি পিটিআই।
আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘ফিনানশিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)-কে কাজে লাগিয়ে পাকিস্তানের উপর সন্ত্রাস নিয়ে চাপ বাড়াল ভারত। গত কাল এফএটিএফ-র পক্ষ থেকে ইসলামাবাদকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ও জঙ্গিদের যাবতীয় অর্থিক মদত বন্ধ করতে হবে। না-হলে পরিণতি ভাল হবে না। ইসলামাবাদকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।
ফ্লরিডায় ১৬ থেকে ২১ জুন হয়ে গেল এফএটিএফের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন ও ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক। আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন-সহ অনেক দেশই বলছে, সন্ত্রাসে অর্থের জোগান বন্ধে ও সন্ত্রাসের পরিকাঠামো ধ্বংসে আদৌ যথেষ্ট পদক্ষেপ করেনি পাকিস্তান। বিশেষ করে ভারতে বিভিন্ন জঙ্গি হামলার মূল চক্রী এবং রাষ্ট্রপুঞ্জ-ঘোষিত সন্ত্রাসবাদী হাফিজ সইদ ও মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে মামলা পর্যন্ত দায়ের করা হয়নি। তিনটি দেশের সহযোগিতা না-মেলায় এই দফায় পাকিস্তানকে কালো তালিকায় তোলার প্রস্তাব গৃহীত হয়নি।
এফএটিএফের সদস্য ৩৮টি দেশ। পর্যবেক্ষক দেশ দু’টি। অন্তত ৩টি সদস্য দেশ আপত্তি জানালেই কোনও দেশকে কালো তালিকায় তোলার প্রস্তাব আটকে যায়। তুরস্ক, চিন ও মালয়েশিয়ার সাহায্যে এ যাত্রা রক্ষা পেয়েছে পাকিস্তান। বৈঠকে ভারত, আমেরিকা ও ব্রিটেনের প্রস্তাবের সরাসরি বিরোধিতা করে একমাত্র তুরস্ক। পাকিস্তানের দুঃসময়ের বন্ধু চিন অনুপস্থিত ছিল বৈঠকে। তবে বিপদ কাটেনি পাকিস্তানের। এফএটিএফ সন্ত্রাসে অর্থের জোগান বন্ধ করতে দু’বার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। জানুয়ারি ও মে মাসে। ইসলামাবাদ ব্যর্থ হয়েছে দু’বারই। পাকিস্তান দাবি করেছে, লস্কর, জয়েশ, জামাত-উদ-দাওয়া ফলাহ-ই-ইনসানিয়ত ফাউন্ডেশনের ৭০০টির বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ২০১২ সালে এমন প্রচার করেই পার পেয়েছিল পাকিস্তান। এফএটিএফ এ বার হুঁশিয়ারি দিয়েছে, সেপ্টেম্বরে কাজ শেষ করতে হবে।
ভারত বহু দিন ধরেই পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করা দাবি জানিয়ে আসছে এফএটিএফ-এর কাছে। এর সমর্থনে বেশ কিছু নথিও দিয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রভিশ কুমার আজ বলেন, ‘‘এফএটিএফের নির্দেশ অনুযায়ী সময়সীমার মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ করুক পাকিস্তান। সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গিদের পুঁজি জোগানোর প্রশ্নে তাদের পদক্ষেপ যেন বিশ্বাসযোগ্য, স্থায়ী ও ত্রুটিহীন হয়। এবং পরে যেন সরে না আসে ইসলামাবাদ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy