এই বিপদের মধ্যে দ্বীপরাষ্ট্রের প্রয়োজন একটি বাস্তববোধসম্পন্ন কার্যকরী সরকার ও প্রশাসন। ছবি পিটিআই
প্রেসিডেন্ট পদ থেকে গোতাবায়া রাজাপক্ষের ইস্তফার দাবিতে উত্তাল শ্রীলঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ভারত বরাবর শ্রীলঙ্কার পাশে আছে। গণতান্ত্রিক নীতি, মূল্যবোধ, প্রতিষ্ঠান এবং সাংবিধানিক পরিকাঠামোর মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার মানুষ দেশের আর্থিক সমৃদ্ধি এবং উন্নয়নের পথ বুঝে নিতে চাইছেন।
সব চেয়ে কাছের প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসাবে ভারত যে ভাবে আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়িয়েছে, তা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাউথ ব্লক। কলম্বোর পাশ থেকে যে সরে আসা হবে না, রবিবার বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য থেকেই তা স্পষ্ট। এখনও পর্যন্ত বড় অঙ্কের ঋণ দিয়েছে ভারত। রবিবার বিবৃতি দেওয়ার সময় সেই প্রসঙ্গও মনে করিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, ‘ভারত শ্রীলঙ্কার নিকটতম প্রতিবেশী দেশ। আমাদের দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে।’ পাশাপাশি আইএমএফ-এর কাছ থেকে সহায়তা আদায় করার জন্যও ভারতের মতো কিছু দেশকে পাশে পাওয়া কূটনৈতিক ভাবেজরুরি শ্রীলঙ্কার।
তবে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ‘পাশে থাকা’র কাজটি ক্রমশ কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাঁদের বক্তব্য, এই বিপদের মধ্যে ওই দ্বীপরাষ্ট্রের প্রয়োজন একটি বাস্তববোধসম্পন্ন কার্যকরী সরকার ও প্রশাসন। যারা আইএমএফ-এর সঙ্গে দর কষাকষি করে দেশকে এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করতে পারবে। শুধু আইএমএফ-ই নয়, অন্য ধনী দেশগুলির সঙ্গে দৌত্য করাও এই মুহূর্তে অত্যন্ত জরুরি। নিজেদের অর্থনৈতিক কাঠামোকে ঢেলে সাজানোরও প্রয়োজন রয়েছে। নয়াদিল্লি মনে করে, নৈরাজ্য বাড়ার পরে আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলি কিছুটা শীতলতাই অবলম্বন করেছে কলম্বোর পাশে দাঁড়াতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy