সোমবার ব্যাঙ্ককে বিমস্টেকের সদস্য দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীরা। ছবি: পিটিআই।
বিমস্টেকভুক্ত রাষ্ট্রগুলির মধ্যে স্বাস্থ্য এবং খাদ্যক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমন্বয় জোরালো করার লক্ষ্যে তাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ককে বৈঠক হল সংশ্লিষ্ট বিদেশমন্ত্রীদের। যোগ দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৈঠকের পরে জয়শঙ্কর টুইট করে বলেন, “খোলামেলা এবং ভবিষ্যমুখী আলোচনা হয়েছে আমাদের মধ্যে। মূল লক্ষ্য ছিল এশিয়ার এই সাতদেশীয় সংগঠনকে আরও পোক্ত করা। বর্তমানে যে সব চ্যালেঞ্জের সামনে আমরা দাঁড়িয়ে, তার মোকাবিলা করতে নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো।”
বিদেশমন্ত্রীর কথায়, “সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রে প্রবেশ করার জন্য নতুন পদক্ষেপ নিয়ে কথা হয়েছে। খাদ্য, জ্বালানি এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নিরাপত্তার প্রসঙ্গটি নিয়ে সবারই উদ্বেগ রয়েছে। পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সেরা কাজকর্ম, অভ্যাসের বিনিময়ের জন্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রকেও একে অন্যের নাগালে আনা জরুরি। আমাদের সবারই লক্ষ্য, বৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি বাড়ানো। এর পর আরও ঘন ঘন আমাদের বৈঠক করার পরিকল্পনা রয়েছে।”
প্রসঙ্গত বিমস্টেক তৈরি হওয়ার পর এই প্রথম আনুষ্ঠানিক ভাবে এই রাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক হল। ১৯৯৭ সালে তৈরি এই বিমস্টেক আগের তুলনায় অনেকটাই সক্রিয় বলে জানাচ্ছে কূটনৈতিক মহল। প্রথমে ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ডের মধ্যে অর্থনৈতিক সমন্বয় দিয়ে এই গোষ্ঠীর পথ চলা শুরু হয়। তার পর ২০০৪ সালে যোগ দেয় ভুটান ও নেপাল। ২০০৭-এ আসে মায়ানমার। এই মুহূর্তে সাতটি দেশের এই সংগঠন বিশ্বের ২২ শতাংশ জনসংখ্যার প্রতিনিধিত্ব করে। দীর্ঘদিন ধরে কার্যত অকেজো হয়ে পড়ে থাকার পরে উরিতে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারত বিশেষ মনোযোগ দিতে শুরু করে বিমস্টেক-এ। বিমস্টেক-এর মাধ্যমে সার্ক অঞ্চল তথা দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে পাকিস্তানকে গুরুত্বহীন ও কোণঠাসা করার কৌশল নিয়েছে সাউথ ব্লক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy