Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Indonesia

কোনও মহিলাকে ফিরিয়ে দিতে পারেন না, ৬১-তে ৮৮তম বিয়ে ইন্দোনেশীয় কৃষকের

কান প্রথম বিয়ে করেছিলেন ১৪ বছর বয়সে। সেই বিয়েতে কনে ছিল তাঁর থেকে দু’বছরের বড়। বিয়ের ভাঙার জন্য নিজেকেই দুষেছেন কান।

বিয়ে সেরে ফেলতে প্রস্তুত বৃদ্ধ।

বিয়ে সেরে ফেলতে প্রস্তুত বৃদ্ধ। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
পশ্চিম জাভা শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২২ ০৬:২৪
Share: Save:

১৪ বছর বয়সে প্রথম বিয়ে করেছিলেন। সেই শুরু। এখন বয়স ৬১। ফের ‘ছাদনাতলায়’ পশ্চিম জাভার মাজালেংকার বাসিন্দা কান। ৮৮তম বিয়েটি সেরে ফেলতে প্রস্তুত বৃদ্ধ।

বারবার বিয়ে করার জন্য ইন্দোনেশিয়ায় ‘প্লেবয় কিং’ নামে বেশ খ্যাতি রয়েছে কানের। এ বারে তাঁর সেই খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে। ৬১ বছর বয়সি কান পেশায় কৃষক। জানিয়েছেন, তিনি কোনও মহিলাকে ফিরিয়ে দিতে পারেন না।

তবে এ বারে যাঁকে বিয়ে করছেন কান, সেই পাত্রী কানেরই ৮৬তম স্ত্রী। নিজের প্রাক্তন সহধর্মিনীকে ফের স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে চান তিনি। কান বলেন, ‘‘বহু দিন আগে আমরা আলাদা হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সেই ভালবাসা আজও প্রবল।’’ কান জানিয়েছেন, পাত্রীও তাঁকে খুব ভালবাসেন। সেই কারণেই ফের একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত। তবে তাঁদের প্রথম দফার বিয়ে সে বারে এক মাসের বেশি টেকেনি।

কান প্রথম বিয়ে করেছিলেন ১৪ বছর বয়সে। সেই বিয়েতে কনে ছিল তাঁর থেকে দু’বছরের বড়। বিয়ের ভাঙার জন্য নিজেকেই দুষেছেন কান। সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘আমার আচরণ সেই সময় খুব খারাপ ছিল। আমার খারাপ ব্যবহারের জন্যই দু’বছর পরে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়েছিলেন আমার প্রথম স্ত্রী।’’ তবে খারাপ ব্যবহার বলতে তিনি কী বলতে চেয়েছেন, তা উল্লেখ করেননি।

কান জানিয়েছেন, প্রথম বিয়ে ভাঙার পরে তাঁর রাগ হয়। আধ্যাত্মিক জ্ঞান আহরণের দিকে ঝোঁকেন তিনি। তার জোরেই ঠিক করে নিয়েছিলেন, এ বারে বহু মহিলা তাঁর প্রেমে পড়বেন। কানের কথায়, ‘‘সে যাই হোক, মহিলাদের জন্য অসম্মানজনক, এমন কোনও কাজ আমি করি না। কারও মন নিয়ে খেলাও করি না।’’ গত ৮৭টি বিয়েতে কানের কতগুলি সন্তান, তা জানা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Indonesia Marriage
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE