ইব্রাহিম রাইসি। ছবি: রয়টার্স।
অতিরক্ষণশীল এবং কট্টরপন্থী হিসেবে পরিচিত ইসলামি ধর্মগুরু ইব্রাহিম রাইসি ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। ইরানের বিচারব্যবস্থার শীর্ষেও রয়েছেন ইব্রাহিম। শনিবার ভোটের ফল বেরোতে দেখা যায় মোট ভোটের ৬২ শতাংশই গিয়েছে তাঁর দখলে। খুব শীঘ্র বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির হাত থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরিত হবে তাঁর হাতে। আন্তর্জাতিক কূটনীতি, অভ্যন্তরীণ উত্তেজনা এবং নাগরিকদের আন্দোলনের মধ্যে এমনিতেই দেশের শাসনব্যবস্থা জর্জরিত। তার মধ্যেই শাসনভার হাতে নেবেন ইব্রাহিম।
নিজেকে ইসলামের প্রবর্তম মহম্মদের বংশধর বলে দাবি করেন ইব্রাহিম, যে কারণে মাথায় কালো পাগড়ি পরেন তিনি। ইরানের শাসনব্যবস্থার সঙ্গে বহু বছর ধরেই যুক্ত তিনি। ২০১৭ সালেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নাম লিখিয়েছিলেন। কিন্তু সে বার রুহানির কাছে পরাজিত হন। তার পর এ বার ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নাম লেখান। তবে এ বার ইরানের নির্বাচনী ইতিহাসে এ বারই সবচেয়ে কম সংখ্যক বেশি ভোটে অংশ নেন। তা সত্ত্বেও বিপুল সমর্থনে জয়লাভ করেছেন ইব্রাহিম। তিনি আয়াতোল্লা রুহোল্লা খোমেইনির ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত।
তবে ইব্রাহিমকে ঘিরে বিতর্কও কম নয়। ১৯৮৮ সালে ইরাকের সঙ্গে যুদ্ধের পর খোমেইনির নির্দেশে যে চার সদস্যের বিশেষ কমিশন গঠিত হয়েছিল, তার সদস্য ছিলেন ইব্রাহিম। বিরোধী শিবিরের রাজনীতিকদের হত্যা এবং দেশজুড়ে ব্যাপক গণহত্যায় তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ। সেই সময় ওই কমিশনকে ‘মৃত্যুর দূত’ বলে উল্লেখ করা হয়। ২০১৯ সালে আমেরিকার ট্রেজারি বিভাগের তরফে ইরানের যে সরকারি আধিকারিকদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, তাতে তাঁর নামও শামিল ছিল। তাই ইব্রাহিমের শাসনকালে আমেরিকার সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক আরও তলানিতে গিয়ে ঠেকবে বলে মনে করছেন কূটনীতিবিদরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy