ইউক্রেনের বিমানের ধ্বংসাবশেষ। পরীক্ষা করছেন তদন্তকারীরা। ছবি: এপি।
প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি দু’দিন আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার। ইউক্রেনের যাত্রিবাহী বিমান হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে আজ জানাল ইরানের বিচারবিভাগীয় মন্ত্রক। ওই ঘটনায় এই প্রথম কাউকে গ্রেফতার করা হল। তবে ক’জন গ্রেফতার হয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়। ধৃতদের নাম-পরিচয়ও প্রকাশ করেনি ইরান সরকার।
গত বুধবার তেহরানের মাটি ছাড়ার কয়েক মিনিট পরেই ১৭৬ জন আরোহী নিয়ে ভেঙে পড়েছিল ইউক্রেনের বিমানটি। ইরানের নাগরিক ছাড়াও বিমানটিতে ছিলেন কানাডা, ইউক্রেন ও ব্রিটেনের নাগরিক। আমেরিকা-সহ পশ্চিমের দেশগুলি প্রথম থেকেই দাবি করেছিল, ইরানের সেনাবাহিনীই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বিমানটি ধ্বংস করেছে। প্রথম কয়েক দিন দুর্ঘটনার তত্ত্ব দিলেও শনিবার তেহরান স্বীকার করে নেয়, তাদের সেনাই ভুল করে বিমানটি ধ্বংস করেছে। প্রথমে গোটা দায় আমেরিকার উপরেই চাপিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট রৌহানি। ওয়াশিংটন যে হামলার হুমকি দিয়ে রেখেছিল, তার জেরে তৎপর হয়েই সে দিন যাত্রিবাহী বিমানটিতে হামলা করা হয় বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু সরকারের এই স্বীকারোক্তির পরে ইরানের সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন। তাঁদের অন্ধকারে রেখে সরকার দেশবাসীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলে মনে করেন দেশের অধিকাংশ মানুষ। এমনকি দেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা খামেনেইয়ের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ চেপে রাখেননি মানুষ। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট রৌহানি। জানিয়েছিলেন, ইউক্রেন, কানাডার প্রতিনিধিরাও তদন্তে অংশ নিতে পারবেন।
বিষয়টি নিয়ে আজ আবার ক্ষমা চেয়ে জাতীয় টিভি চ্যানেলে একটি বিবৃতি দিয়েছেন রৌহানি। জানিয়েছেন, ক্ষমার অযোগ্য এই ভুলের বিশদে তদন্ত হচ্ছে। একটি বিশেষ আদালত গঠন করে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘এটা কোনও সাধারণ মামলা নয়। গোটা বিশ্ব এখন এই আদালতের দিকে তাকিয়ে। যারা এ কাজ করেছে, তাদের কাউকে ছাড়া হবে না।’’ ইরানের বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্র জানিয়েছে, মাত্র এক জনের ভুলে এই হামলা হয়নি বলেই মনে করছে সরকার। তদন্তে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নাম উঠে আসছে বলেও জানিয়েছে ওই সূত্র। রৌহানির আশ্বাস, ‘‘এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের।’’ এত লোকের মৃত্যুর জন্য তাঁর সরকারই যে দায়ী, তা আরও এক বার স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেমানির হত্যা নিয়ে গত কাল ফের মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাল ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘সোলেমানি বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসবাদী। বহু মার্কিন নাগরিককে ও মেরেছে। তাই আমরা ওকে মেরেছি। ডেমোক্র্যাটরা যদি ওকে আড়াল করতে চান, তা হলে আমাদের দেশের পক্ষে তা দুর্ভাগ্যজনক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy