মাস খানেক আগেই ইঙ্গিত মিলেছিল। তবু ঠেকানো গেল না জঙ্গি আগ্রাসন। রামাদি শহরে সরকারি সদর দফতরগুলির একটা বড় অংশের দখল নিল ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠী। এমনকী রাজ্য পুলিশের দফতরের ছাদেও জঙ্গিদের কালো পতাকা দেখা গিয়েছে বলে আজ জানালেন খোদ রামাদির গভর্নর। গত কাল রাত থেকে শহর জুড়ে হামলা জোরদার করেছে জঙ্গিরা। আগ্রাসন বহাল আজও। জঙ্গি হামলায় নিহত অন্তত ১১।
বাগদাদের ১১৩ কিলোমিটার পশ্চিমের শহর রামাদি যে তাদের কব্জায়, বার্তা দিয়েছে জঙ্গিরাও। শহরের কয়েক হাজার পরিবার আইএসের হাতে পণবন্দি। একের পর এক হামলায় বিধ্বস্ত বেশ কিছু সরকারি দফতর। স্থানীয় প্রশাসনও যেন হাল ছাড়ার ভঙ্গিতে। কিন্তু ন্যাটো বাহিনীর নিরন্তর বিমানহানা এড়িয়েও জঙ্গিরা কী ভাবে আনবারের এতখানি এলাকা নিজেদের দখলে নিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, গত কাল রাত থেকে একের পর এক গাড়িবোমা এবং আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। একাধিক সরকারি দফতরে চলেছে বুল়ডোজার। জঙ্গি হামলা থেকে রেহাই পায়নি রামাদির শিক্ষা দফতরও। সব মিলিয়ে কাল রাত থেকে ছ’টি গাড়িবোমা বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
জঙ্গি আগ্রাসনের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রামাদি শহরে ঘরছাড়া মানুষের সংখ্যা। তাঁদের অভিযোগ, এপ্রিলের গোড়ায় রামাদি-লাগোয়া আলবু ঘানিম শহরে যখন জঙ্গিরা ঢুকতে শুরু করেছিল, প্রশাসন আদৌ তাদের ঠেকানোর চেষ্টা করেনি।
সম্প্রতি ইরাকি সেনার দাপটেই তিকরিত হাতছাড়া হয়েছে জঙ্গিদের। পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে কোবানেও। মাঝে আবার ন্যাটোর হানায় গোষ্ঠী-প্রধান আবু বকর আল বাগদাদির মৃত্যুর খবরও রটেছে। যার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন রয়েছে খোদ ন্যাটোরই অন্দরে। তাই এই পরিস্থিতিতে রামাদি-দখল তাদের বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে আবু বকরের একটি অডিও-বার্তাও ছড়িয়েছে জঙ্গিরা। যেখানে ‘শান্তি নয়, যুদ্ধ চাই’ বলে জেহাদি ভাষণ দিতে শোনা গিয়েছে আইএস-প্রধানকে। অবশ্য এই অডিও-র বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy