ছদ্মবেশে হাসপাতালে ঢুকে হামলা চালাল ইজ়রায়েলি সেনা বাহিনী। ছবি সংগৃহীত।
ছদ্মবেশে হাসপাতালে ঢুকে হামলা চালাল ইজ়রায়েলি সেনাবাহিনী। ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ইজ়রায়েলি সেনার তরফে দাবি করা হয়েছে, নিহত তিন জনই হামাসপন্থী।
ইজ়রায়েলে গত অক্টোবরে প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার পর থেকেই যুদ্ধ চলছে দু’পক্ষের মধ্যে। ইজ়রায়েলিদের উপর হামলা চালাচ্ছেন হামাসপন্থীরা। আবার কখনও ইজ়রায়েলি সেনার পাল্টা হামলায় জর্জরিত হয়েছেন তাঁরা। মঙ্গলবারের এই হামলার ঘটনা চলমান সংঘাতের অংশ।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে মঙ্গলবারের হামলার ঘটনা ঘটেছে। সমাজমাধ্যমে বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো ছড়িয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, ভিডিয়োগুলি জেনিন শহরের হাসপাতালে ইজ়রায়েলি সেনার হামলার ঘটনা। যদিও ভিডিয়োগুলির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ১০-১২ জন ছদ্মবেশে হাসপাতালে ইবনে সিনা হাসপাতালে প্রবেশ করেছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ চিকিৎসকের বেশে, কেউ আবার রোগীর পরিজনের পরিচয়ে হাসপাতালে ঢুকে প্রথমে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করেন। তার পর আচমকাই লুকিয়ে রাখা অস্ত্র বের করে হামলা চালান।
সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, হামলাকারীরা সকলেই ছিলেন ইজ়রায়েলি সেনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, নিহত তিনজনের মধ্যে একজন কয়েক মাস আগে ইজ়রায়েলি অভিযানে আহত হয়েছিলেন। এই হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল।
প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এই হামলার কথা স্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, নিহত তিন জনই তাদের সংগঠনের সদস্য। সেই সঙ্গে মঙ্গলবারের ঘটনার পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। পাশাপাশি, ইজ়রায়েলি সেনাবাহিনীকে ‘কাপুরুষ’ বলেও অভিহিত করেছে হামাস।
গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল হামাস গোষ্ঠী। সে সময় শতাধিক ইজ়রায়েলি নাগরিককে পণবন্দি হিসাবে গাজ়ায় নিয়ে গিয়েছিল তারা। পরে কাতারের মধ্যস্থতায় আলোচনার মাধ্যমে তাঁদের অনেককে মুক্তি দিলেও এখনও বন্দি শতাধিক। দু’পক্ষেরই হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে যেমন আছেন, সেনাবাহিনীর সদস্য, তেমনই আছেন সাধারণ নাগরিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy