স্বাধীনতাপন্থী প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস সম্মতি দিয়েছিল ৭২ ঘণ্টা আগেই। এ বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের দেওয়া রফাসূত্র মেনে গাজ়ায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে বৈঠকে বসতে সম্মত হলেও ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
হামাসের হাতে আটক ইজ়রায়েলি পণবন্দিদের পরিবারের সঙ্গে নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার বৈঠক করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘ইজ়রায়েল উইটকফের নতুন প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।’’ প্রসঙ্গত, ওয়াশিংটনের ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রথম দফায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি হবে হামাস এবং ইজ়রায়েলের মধ্যে। এই যুদ্ধবিরতির মধ্যে ১০ জন পণবন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ৭০ দিনের যুদ্ধবিরতি চলাকালীন গাজ়ার নির্দিষ্ট অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথাও ইজ়রায়েলকে জানিয়েছেন উইটকফ। একই সঙ্গে বেশ কয়েক জন জেলবন্দি প্যালেস্টাইনিকে মুক্তি দেওয়ার কথাও রয়েছে রফাসূত্রে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের আল কাশিম ব্রিগেড ইজ়রায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালানোর পরে নেতানিয়াহুর ফৌজ ধারাবাহিক ভাবে গাজ়ায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এর পর কাতারের মধ্যস্থতায় এবং আমেরিকা ও মিশরের প্রচেষ্টায় গত ১৫ জানুয়ারি রাতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছিল ইজ়রায়েল সরকার এবং হামাস। ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরও হয়েছিল। কিন্তু পণবন্দি মুক্তি ঘিরে টানাপড়েনের জেরে মার্চের গোড়ায় একতরফা ভাবে যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজ়ায় আবার হামলা শুরু করেছে ইজ়রায়েলি সেনা। তার পর থেকে প্রায় প্রতি দিনই গাজ়ায় ইজ়রায়েলি হামলা চলছে। এমনকি, গাজ়া ভূখণ্ড পুরোপুরি দখলের কথাও ঘোষণা করেছেন নেতানিয়াহু। তবে প্রায় তিন মাস পরে চলতি সপ্তাহে অবরুদ্ধ গাজ়ায় রাষ্ট্রপুঞ্জের ত্রাণবাহী ট্রাক ঢোকার অনুমতি দিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার।