ভারতীয় ধীবর খুনে অভিযুক্ত দুই মেরিনের বিচার নিয়ে আন্তর্জাতিক সালিশির পথে হাঁটল ইতালি সরকার। আজ সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষে এ কথা জানানো হয়েছে।
২০১২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কেরলের উপকূলের কাছে ইতালীয় জাহাজের রক্ষী মেরিন ম্যাসিমিলানো লাতোরে ও সালভাতোর গিরোনের গুলিতে নিহত হন দুই ভারতীয় ধীবর। আজেশ বিঙ্কি ও ভ্যালেন্টাইন নামে ওই দুই ধীবরকে মেরিনেরা জলদস্যু ভেবেছিলেন বলে দাবি ইতালির। দুই মেরিনকে গ্রেফতার করে কেরল পুলিশ। এর পরে বিষয়টি নিয়ে কূটনৈতিক টানাপড়েন হয়েছে বিস্তর। ভারতীয় জলসীমার মধ্যেই ধীবররা নিহত হওয়ায় ভারতের আদালতেই দুই মেরিনের বিচার হওয়া উচিত বলে দাবি দিল্লির। রোমের পাল্টা দাবি, ঘটনা ঘটেছে ভারতীয় জলসীমার বাইরে। তাই রাষ্ট্রপুঞ্জের সমুদ্র সংক্রান্ত আইনে এর বিচার হওয়া উচিত।
এক সময়ে দুই মেরিনকে শর্তসাপেক্ষে ইতালি যাওয়ার অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পরে ইতালি সরকার জানিয়ে দেয়, তাঁরা আর ভারতে ফিরবেন না। শীর্ষ আদালতে ভারতে তৎকালীন ইতালীয় রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েল মানচিনি মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়েছিলেন দুই মেরিনকে। ফলে, মানচিনির ভারত ছাড়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দিল্লি। কূটনৈতিক রক্ষাকবচ মানচিনির ক্ষেত্রে আর খাটে না বলেও যুক্তি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট ও সাউথ ব্লক। পরে অবশ্য দুই মেরিন ভারতে আসেন। তবে তাঁদের আর হেফাজতে নিতে পারেননি ভারতীয় তদন্তকারীরা। ইতালীয় দূতাবাসেই বিচারের অপেক্ষায় ছিলেন তাঁরা। গত বছরে অস্ত্রোপচারের জন্য ফের ইতালি যাওয়ার অনুমতি পান লাতোরে।
আজ ইতালি জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে ভারতের সঙ্গে সরাসরি দর কষাকষিতে লাভ হয়নি। তাই আন্তর্জাতিক সালিশির পথে হাঁটবে রোম। আইন বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের আইন অনুযায়ী এই বিষয়ে একটি বিশেষ কমিটি বা ট্রাইব্যুনাল তৈরির আর্জি জানাতে পারে রোম। তা ছাড়া হেগের আন্তর্জাতিক আদালত বা হামবুর্গের সামুদ্রিক আইন ট্রাইব্যুনালেও বিচার চাইতে পারে তারা। রোম কোন পথে এগোবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy