শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পিছনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বড় ভূমিকা ছিল। গত বছরের জুলাই আন্দোলনের সময় মোটা টাকা বিনিয়োগ করে তিনি একটি বিদেশি লবি-সংস্থাকে নিয়োগ করেছিলেন বলে দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর ব্রিটিশ ও ইউরোপের মুখপাত্রআবু বকর মোল্লা। এ প্রসঙ্গে ইউনূস সরকারের কোনও বক্তব্য এখনও পাওয়া য়ায়নি।
গত ৫ অগস্টের পরে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেন ইউনূস। সম্প্রতি একটি অনলাইন টক শো-তে জামাত মুখপাত্র দাবিকরেন, ‘‘উনি একটি লবি-ফার্ম নিয়োগ করেছিলেন। ঐ ফার্মের সঙ্গেআমরাও কাজ করতাম। উনি ওঁর প্রতিষ্ঠানের টাকা খরচ করে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিদেশের মাটিতে ওই সংস্থা ভাড়া করে কাজ করেছেন। যে কয়েকটা গোষ্ঠীআওয়ামী লীগ সরকারের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বে কাজ করেছে, জামায়াত এবং ইউনূস তার অংশীদার।’’ আবু বকরের দাবি,ইউনূসের সঙ্গে ওই সংস্থার কোন কোন শর্তে চুক্তি হয়েছিল, তা তিনি দেখেছিলেন।
আবু বকর জানিয়েছেন, তাঁরা একটি জনসংযোগ সংস্থার সঙ্গে কাজ করতেন। যখন ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা হল, মনে হচ্ছিল তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। তখন সেই সংস্থার তরফে ওই জামায়াতে নেতাকে বলা হয়, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য এবং ইউনূস যেন সুবিচার পান, সেজন্য তারা কাজ করছে। আবু বকরের কথায়, ‘‘আমি ইউনূসের কোনও স্বাক্ষর দেখার সুযোগ পাইনি। তিনি নিজে ওই ফার্মকে নিয়োগ করেছেন কি না, তা যাচাই করিনি। কিন্তু ওই ফার্ম যে তিনটি শর্ত মোতাবেক কাজ করেছে তা আমাকে জানানো হয়েছিল।’’
বকরের মতে, ইউনূসের কোনও শুভাকাঙ্ক্ষীও তাঁর জন্য ওই সংস্থাকে নিয়োগ করতে পারেন। বিদেশে থাকা বাংলাদেশের বন্ধু মনোভাবাপন্ন অনেক গোষ্ঠী এই ধরনের অনেক কাজ করেছে। ওই জামাত নেতার দাবি, আওয়ামী লীগও লবি-সংস্থাকে ব্যবহার করছে।
এ দিকে, মঙ্গলবার ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করেন ইউনূস। সেখানে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক সমান মর্যাদার অধিকারী এবং ধর্ম, মত বা অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে কাউকে বঞ্চিত করাযাবে না। পুরো জাতি একটি পরিবার। পরিবারের ভিতরেমতভেদ থাকতে পারে, ব্যবহারের পার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু পরিবারকে কেউ ভাঙতে পারবে না। আমরা যেন জাতি হিসেবে অটুট পরিবার হয়ে দাঁড়াতে পারি।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)