Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

রণতরীর দুর্ঘটনায় বরখাস্ত কম্যান্ডার

এক বছরের নিরিখে সংখ্যাটা চার। কেন এত ঘনঘন মার্কিন নৌ-বাহিনী দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে, তা খতিয়ে দেখতে কম্যান্ডারদের আলোচনায় বসতে বলেছেন মার্কিন নৌ অভিযানের প্রধান অ্যাডমিরাল জন রিচার্ডসন।

মার্কিন রণতরী জন এস ম্যাকেন। ছবি: এএফপি।

মার্কিন রণতরী জন এস ম্যাকেন। ছবি: এএফপি।

সংবাদ সংস্থা
টোকিও শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৭ ০৯:২০
Share: Save:

দু’দিন আগেই সিঙ্গাপুর উপকূলে মার্কিন রণতরী জন এস ম্যাকেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছিল একটি ট্যাঙ্কারের। ওই দুর্ঘটনার জেরে সরানো হল সপ্তম মার্কিন নৌবহরের কম্যান্ডার ভাইস অ্যাডমিরাল জোসেফ ওকয়েনকে। গত দু’মাসে এ নিয়ে সপ্তম বহরের দু’টি যুদ্ধজাহাজ দুর্ঘটনার কবলে পড়ল। এক বছরের নিরিখে সংখ্যাটা চার। কেন এত ঘনঘন মার্কিন নৌ-বাহিনী দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে, তা খতিয়ে দেখতে কম্যান্ডারদের আলোচনায় বসতে বলেছেন মার্কিন নৌ অভিযানের প্রধান অ্যাডমিরাল জন রিচার্ডসন।

গত সোমবার সিঙ্গাপুর প্রণালীতে একটি বিশাল তেলের ট্যাঙ্কারের সঙ্গে জোরালো ধাক্কা লাগে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী মার্কিন যুদ্ধজাহাজের। ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ১০ জন মার্কিন নাবিক। আহত হন পাঁচ জন। এখনও পর্যন্ত মাত্র এক জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার সরকার। দুর্ঘটনার পর থেকেই মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার নৌ-বাহিনী সমুদ্রের প্রায় আড়াই হাজার বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। মার্কিন প্রশান্ত মহাসাগরীয় বহরের কম্যান্ডার জানিয়েছেন, উদ্ধারকারী দল কিছু নাবিকের দেহাংশ খুঁজে পেয়েছেন। কিন্তু ওইটুকু দেহাংশ থেকে নাবিকদের পরিচয় জানা কার্যত অসম্ভব।

আরও পড়ুন: একটা ছবি বদলে দিল ট্রাম্পের মত, মার্কিন বাহিনী থাকছে আফগানিস্তানে

দক্ষিণ চিন সাগরে ‘ফ্রিডম অব নেভিগেশন’ অভিযান সেরে ফিরছিল জন এস ম্যাকেন। গত জুন মাসেও জাপানের উপসাগরীয় এলাকায় একটি পণ্যবাহী জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছিল এক মার্কিন রণতরীর। তবে সেই দুর্ঘটনা এতটা ভয়াবহ ছিল না।

ভাইস অ্যাডমিরাল জোসেফ গত তিন দশক ধরে নৌ-বাহিনীতে ছিলেন। আর ক’দিন পরে তাঁর অবসর নেওয়ার কথা। নৌ-সেনা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘জোসেফের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতায় ঘাটতি হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই এই সিদ্ধান্ত।’’ অ্যাডমিরাল জন রিচার্ডসন যদিও দুর্ঘটনার পিছনে সাইবার হানার ইঙ্গিত দিয়েছেন। দক্ষিণ চিন সাগর ও কোরীয় উপসাগরের যে অংশে এই মার্কিন বহর অভিযান চালায়, তা নিয়ে চিনের বরাবরের আপত্তি রয়েছে। সোমবারের দুর্ঘটনার পিছনে অন্তর্ঘাত রয়েছে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ। সরকারি ভাবে অবশ্য এ নিয়ে মুখ খোলা হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE