কাজ়াখস্তানে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ দমনে সাহায্য পাঠাল রাশিয়া, কিরঘিজ়স্তান-সহ কয়েকটি মিত্র দেশ। কাজ়াখের পথে কিরঘিজ়ের সাঁজোয়া গাড়ি। শুক্রবার কিরঘিজ়স্তানের কান্ট সেনা ছাউনিতে। ছবি— রয়টার্স।
দেশে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলতে থাকা গণবিক্ষোভ এবং যাবতীয় হিংসার জন্য বিদেশি মদতের দিকে আঙুল তুললেন কাজ়াখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম-জ়োমার্ট তোকায়েভ। তবে কিসের ভিত্তিতে তিনি এমন অভিযোগ করছেন, তার সপক্ষে কোনও প্রমাণ দেননি তিনি। উল্টে কোনও আগাম সতর্ক বার্তা ছাড়াই বিক্ষোভকারীদের উপরে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কড়া হাতে বিক্ষোভ দমনের বার্তা দিয়ে আন্দোলনকারীদের সন্ত্রাসবাদী আখ্যাও দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
এলপিজি-র অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে চলতি সপ্তাহের গোড়ায় দেশ জুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল কাজ়াখস্তানে। প্রথমে পশ্চিমের প্রদেশে বিক্ষোভ-আন্দোলন সীমাবদ্ধ থাকলেও ক্রমে তা ছড়িয়ে পড়ে দেশের বৃহত্তম শহর আলমাটি ও রাজধানী নুর-সুলতানে। বিশেষত গত কয়েক দিনে আলমাটি হয়ে উঠেছিল বিক্ষোভের প্রাণকেন্দ্র। গত কাল অজস্র সরকারি ভবন দখল করে সেখানে আগুন জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। আলমাটিতে গত দু’দিনে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৬ জন সশস্ত্র বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে আজ জানিয়েছে দেশের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক। বিক্ষোভকারীদের পাল্টা হামলায় মৃত্যু হয়েছে পুলিশ ও সেনা বাহিনীর ১৮ জন সদস্যের। আটক করা হয়েছে কমপক্ষে ৩ হাজার বিক্ষোভকারীকে।
তবে দেশের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বলে জানিয়েছে সরকার। আজ আলমাটিতে বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা ঘটলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই ছিল বলে জানাচ্ছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। প্রেসিডেন্ট তোকায়েভ অবশ্য বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনার রাস্তায় না হেঁটে কড়া হাতেই বিক্ষোভ দমনের বার্তা দিয়ে রেখেছেন। বিরোধীরা অবশ্য বিদেশি মদত ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, সরকারের বিরুদ্ধে এত দিন ধরে জমতে থাকা জনরোষই এত বৃহত্তর আন্দোলনের রূপ নিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy