খালেদা জিয়া। —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে বৈঠকের পরই সোমবার রাতে সে দেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিন ঘোষণা করেছিলেন। মঙ্গলবার সরকারি নির্দেশিকা জারি করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সাজা মকুব করে মুক্তি দেওয়ার কথা জানানো হল। পাশাপাশি, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই সংসদও ভেঙে দিলেন তিনি।
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা দুর্নীতির দু’টি মামলায় সাজা পেয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হয়েছিলেন। তাঁর মোট ১৭ বছরের জেলের সাজা হয়। দু’বছরের বেশি সময় তিনি জেলে ছিলেন। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাসিনার সরকার এক অন্তর্বর্তী আদেশে খালেদার সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ স্থগিত করে তাঁকে শর্তসাপেক্ষে গৃহবন্দি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে তার মেয়াদ ছিল ছ’মাস। তার পর থেকে ছ’মাস পর পর গৃহবন্দিত্বের মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার।
জেল থেকে মুক্তি পেলেও কার্যত খালেদা তাঁর গুলশনের বাড়িতে গৃহবন্দি ছিলেন। স্বাধীন ভাবে তাঁর যাতায়াতের উপর ছিল নানা বিধিনিষেধ। অসুস্থ খালেদাকে গত কয়েক বছরে একাধিক বার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জুলাইয়ে মুক্তি পেলেও তাঁর পক্ষে সক্রিয় ভাবে রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপে অংশ নেওয়া সম্ভব হবে না বলেই বিএনপির একটি সূত্র জানাচ্ছে। গণবিক্ষোভের জেরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইস্তফা এবং দেশত্যাগের পরে নাটকীয় পরিবর্তন হয়েছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে। এই পরিস্থিতিতে খালেদার পুত্র লন্ডন প্রবাসী তারেক বিএনপির হাল ধরতে পারেন বলে সূত্রের খবর। খালেদা এবং তারেক দু’জনেই সোমবার পৃথক বিবৃতিতে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন দেশবাসীর কাছে।
বাংলাদেশের সংসদ ভেঙে দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার বিকেল ৩টে পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই সংসদ ভেঙে দিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহবুদ্দিন। সোমবার রাতেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় সংসদ ভেঙে দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সংসদ ভেঙে ফেলার কথা জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy