পাড়ি: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে ট্রেনে করে হ্যানয় চলেছেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন। পিয়ংইয়্যাং-এ। রয়টার্স
লাগতে পারত মাত্র চার ঘণ্টা। সেখানে লাগছে ষাট ঘণ্টা! ট্রেনে পিয়ংইয়্যাং থেকে হ্যানয় যাত্রা শুরু করেছেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন। সেই বিলাসবহুল ট্রেন ঘিরে উৎসাহের শেষ নেই।
কিমের সঙ্গে বৈঠক করতে আগামিকাল সম্ভবত হ্যানয় পৌঁছচ্ছেন ট্রাম্প। কিম রওনা হয়েছেন গত শনিবার। সে দিনই চিনের ইয়ালু নদী পার হতে দেখা গিয়েছে আড়াআড়ি ভাবে হলুদ ডোরা কাটা গাঢ় সবুজ রঙের ট্রেনটিকে। উত্তর কোরিয়া সরকারেরই একটি সূত্র জানাচ্ছে, কিমের বিলাসবহুল জীবনযাপনের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই তৈরি করা হয়েছে এই বিশেষ ট্রেন।
২১ কামরার সেই ট্রেনে রয়েছে অনেকগুলি বিলাসবহুল ঘর। ঘরগুলির বেশির ভাগের মধ্যে রয়েছে গোলাপি চামড়ায় মোড়া বড় বড় চেয়ার, জায়ান্ট টিভি স্ক্রিন। ট্রেনের কামরাগুলি হাল্কা গোলাপি রঙের পর্দায় মোড়া। ট্রেনে রয়েছে সুবিশাল খাবার জায়গা। ঘুমানোর জন্য আলাদা ঘর। একটি কামরায় শুধু বিলাসবহুল গাড়ির সম্ভার। আছে স্যাটেলাইট ফোনের ব্যবস্থাও। দরকারে দেশের আধিকারিকদের সঙ্গে যাতে দ্রুত পরামর্শ সারতে পারেন কিম।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, এখন শান্তি নিয়ে আলোচনা করতে গেলেও এর আগে যুদ্ধের বার্তা দিতে এই ট্রেনকে ব্যবহার করেছেন কিম। ২০১৬ সালে সোহ্যায় কেন্দ্র থেকে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ সেরে এই ট্রেনে করেই পিয়ংইয়্যাং ফিরেছিলেন কিম। পরমাণু হামলার হুমকি দিয়েছিলেন আমেরিকাকে। রেড কার্পেটে সেই সময়ে স্বাগত জানানো হয়েছিল দেশের নেতাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy