Advertisement
E-Paper

এসসিও সম্মেলনের পর এ বার একমঞ্চে চিন, রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়া! মহাসমারোহ কি চিন্তায় ফেলবে পশ্চিমি বিশ্বকে?

বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে বিদেশের ২৬ জন নেতাকে বেজিঙে হাজির করাচ্ছেন শি। সেই তালিকায় কিম, পুতিন যেমন রয়েছেন, তেমন থাকছেন আমেরিকার ‘শত্রু’ ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েশকিয়ানও!

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২০:২৭
Leaders of China, Russia, North Korea and Iran gather in Beijing

বেজিঙে এক মঞ্চে দেখা যাবে (বাঁ দিক থেকে) চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েশকিয়ান, উত্তর কোরিয়ার অবিসংবাদী নেতা কিম জং উনরুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে। (একটু উপরে) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

বিজয় দিবসে সামরিক কুচকাওয়াজ। চিনের মাটিতে বুধবার অনুষ্ঠিত হবে এই সামরিক সজ্জার প্রদর্শন। তবে অনুষ্ঠানের আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন তিন জন। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার অবিসংবাদী নেতা কিম জ‌ং উন। এই ত্রয়ীর মিলন মঞ্চ কি পশ্চিমি বিশ্বকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে? বিশেষত, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতিকে হাতিয়ার করে কি চিন নতুন শক্তি প্রদর্শনের পথে হাঁটতে চাইছে? এমন নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বিশ্ব কূটনৈতিক মহলে।

বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে বিদেশের ২৬ জন নেতাকে বেজিঙে হাজির করাচ্ছেন শি। সেই তালিকায় কিম, পুতিন যেমন রয়েছেন, তেমন থাকছেন আমেরিকার ‘শত্রু’ ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েশকিয়ানও! সাম্প্রতিক অতীতে ইরানের তিন পারমাণবিক ঘাঁটিতে মার্কিন হামলার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে টানাপড়েন আরও তীব্র আকার ধারণ করে। সেই আবহে চিনে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে পেজ়েশকিয়ানের উপস্থিতি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত অনেকের।

বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ওয়াশিংটনও। ট্রাম্প প্রশাসনের একাংশের মতে, আমেরিকা-বিরোধী ‘অভ্যুত্থানের অক্ষ’ হিসাবে উঠে আসতে পারে এই চার দেশ। পরে শক্তি বৃদ্ধিতে এই অক্ষের দিকে ঝুঁকতে পারে বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলির মধ্যে কেউ কেউ। মূলত, মার্কিন নীতির বিরোধিতাই এই অক্ষের মূল পুঁজি হতে পারে বলে মত অনেকের। যদিও এখনও পর্যন্ত এই চার রাষ্ট্রনেতার একত্র কোনও পরিকল্পনার কথা প্রকাশ্যে আসেনি। তবে চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে ট্রাম্প এবং পশ্চিমের দেশগুলির নেতাদের।

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য পুতিনের উপর চাপ বৃদ্ধির এক কৌশল চলছে ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির বৈঠকে ইউরোপীয় নেতাদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। অনেকের মতে, পুতিনের উপর সম্মিলিত চাপ সৃষ্টির চেষ্টা ছিল। শুধু তা-ই নয়, নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারিও রয়েছে পুতিনের উপর। এই আবহে চিনে চতুর্দেশীয় অক্ষ তৈরির সম্ভাবনা পরোক্ষ ভাবে ট্রাম্প এবং পশ্চিমের দেশগুলিকে শক্তিপ্রদর্শন বলে মনে করছেন অনেকে।

উল্লেখ্য, রাশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি তেল কেনে চিন। তবে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিশ্বে তাদের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী চিনের বিরুদ্ধে এখনও জরিমানা-শুল্ক চাপাননি ট্রাম্প। ভারতীয় পণ্যে অবশ্য ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। তবে আমেরিকার ‘দাদাগিরি’র বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বেজিং। শত্রুতা ভুলে ভারতের মতো প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গেও সখ্য বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছে জিনপিঙের প্রশাসন। চিনের তিয়ানজিনে সদ্যসমাপ্ত সাংহাই কোঅপারেটিভ অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মত অনেকের। সেই রেশ কাটতে না কাটতে আবার চিনে হতে চলেছে বিজয় দিবস উদ‌্‌যাপন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান এবং জাপানের বিরুদ্ধে চিনের যুদ্ধজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে ৩ সেপ্টেম্বর দিনটি বিজয় দিবস হিসাবে পালন করে বেজিং। এ বার ৮০তম বিজয় দিবস পালন করতে চলেছে তারা।

Xi Jinping Vladimir Putin Kim Jong Un Donald Trump
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy