(বাঁ দিক থেকে) বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং আয়াতোল্লা আলি খামেনেই। —ফাইল চিত্র।
আন্তর্জাতিক উড়ানের জন্য আংশিক ভাবে খুলে দেওয়া হল ইরানের আকাশপথ। এক্স (সাবেক টুইটার)-এ জানাল উড়ান পর্যবেক্ষণ সংস্থা ‘ফ্লাইট রাডার ২৪’।
এক দিন আগেই তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, ইরানে শাসকবদল কেন হবে না। এক দিন পরে সেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের গলায় শোনা গেল উল্টো কথা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানালেন, ইরানে শাসকবদল চাইছে না আমেরিকা। কেন, সেই যুক্তিও দিয়েছেন। ট্রাম্পের দাবি, তিনি কোনও রকম ‘বিশৃঙ্খলা’ দেখতে চান না। যদিও মাঝের এই এক দিনে আরও ‘উলটপুরাণ’ ঘটেছে। সোমবার গভীর রাতে ট্রাম্প ইজ়রায়েল এবং ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির কথা ঘোষণা করেন।
অসন্তুষ্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানালেন, ইরান এবং ইজ়রায়েল, দুই দেশই যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করেছে। তাই তিনি ইরানের উপর তো বটেই, বিশেষ ভাবে অসন্তুষ্ট ইজ়রায়েলের উপর।
মঙ্গলবার ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি নিয়ে সমাজমাধ্যমে তিনটি পোস্ট করেন। তৃতীয় পোস্টে তিনি লেখেন, “সংঘর্ষবিরতি এখন থেকে কার্যকর হচ্ছে। দয়া করে লঙ্ঘন করবেন না।” তার পরেই যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি জানায় ইজ়রায়েল। ইজ়রায়েলের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে, ইজ়রায়েল তাঁর প্রস্তাব মেনে পারস্পরিক সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হচ্ছে।” সেই সময় ইরানের তরফে যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দেওয়া বা না দেওয়ার বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। পরিস্থিতি রাতারাতি বদলে যায় তার কিছু সময় পরেই।
ইজ়রায়েল দাবি করে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে হামলা চালিয়েছে ইরান। তাই ইরানের প্রাণকেন্দ্র তেহরান লক্ষ্য করে হামলা চালানোর নির্দেশ দেন ইজ়রায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ইজ়রায়েলের এই নির্দেশের পরেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন সংক্রান্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ইরান। পাশাপাশি ইরানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক গোষ্ঠী ন্যাশনাল সিকিয়োরিটি কাউন্সিল (জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ) জানানো হয়, তারা ইজ়রায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতির পথে হাঁটছে। ইরানের বিবৃতিতে এ-ও বলা হয় যে, জায়নবাদী (ইহুদি জাতীয়তাবাদী মতাদর্শ) শত্রু এবং তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” বলা হয়, ‘শত্রুর নিষ্ঠুরতা’র সমুচিত জবাব দিয়েছে ইরানের সেনাবাহিনী।
ইরান অবশ্য জানিয়েছে, শত্রুপক্ষ যদি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে, তবে তারাও পাল্টা হামলা চালাবে। সে ক্ষেত্রে ইজ়রায়েলের পর ইরানও যুদ্ধবিরতি ভাঙার ঘোষণা করবে বলে মনে করা হচ্ছে এ ক্ষেত্রে ট্রাম্প কী অবস্থান নেন, সেই দিকেই এখন নজর।
ইরানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক গোষ্ঠী ন্যাশনাল সিকিয়োরিটি কাউন্সিল (জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ) জানিয়েছে তারা ইজ়রায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতির পথে হাঁটছে। ইরানের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জায়নবাদী (ইহুদি জাতীয়তাবাদী মতাদর্শ) শত্রু এবং তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” একই সঙ্গে বলা হয়েছে, ‘শত্রুর নিষ্ঠুরতা’র সমুচিত জবাব দিয়েছে ইরানের সেনাবাহিনী।
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন সংক্রান্ত ইজ়রায়েলের অভিযোগ অস্বীকার করল ইরান। সে দেশের সংবাদ সংস্থা আইএসএনএ এমনটাই জানিয়েছে।
ইরানের প্রাণকেন্দ্র তেহরানে ‘তীব্র হামলা’ চালানোর নির্দেশ দিলেন ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজ়রায়েল কাট্জ়। ইজ়রায়েলের অভিযোগ যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে হামলা চালাচ্ছে ইরান।
ইজ়রায়েলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে ইরানের এক ঝাঁক ক্ষেপণাস্ত্র। বিষয়টি নজরে আসার পরেই বাসিন্দাদের সতর্ক করতে উত্তর ইজ়রায়েলে বাজানো হচ্ছে এয়ার সাইরেন। এমনটাই জানানো হয়েছে তেল আভিভের তরফে।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি জানাল ইজ়রায়েল। তবে এই বিষয়ে ইরানের অবস্থান কী, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। সোমবার মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার সকাল (ভারতীয় সময় অনুসারে) যুদ্ধবিরতি নিয়ে সমাজমাধ্যমে তিনটি পোস্ট করেছেন ট্রাম্প। তৃতীয় পোস্টে তিনি জানান, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে। তার পরেই ইজ়রায়েলের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে, ইজ়রায়েল তাঁর প্রস্তাব মেনে পারস্পরিক সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হচ্ছে।”
ইজ়রায়েলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সোমবার রাতে সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজ়রায়েল কাৎজ় গুপ্তচর সংস্থা ও প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেন মোসাদের প্রধান। ওই বৈঠকে নেতানিয়াহু জানান, ইরানের বিরুদ্ধে অভিযানে ‘সব লক্ষ্য’ পূরণ করতে পেরেছে ইজ়রায়েল।
বিবৃতিতে নেতানিয়াহুকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, “ইজ়রায়েল দু’টি অস্তিত্বগত ঝুঁকি নষ্ট করে দিয়েছে। একটি ছিল পরমাণু অস্ত্র সংক্রান্ত ঝুঁকি, আর একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত ঝুঁকি।” মনে করা হচ্ছে, এই বক্তব্যের মাধ্যমে নেতানিয়াহু বোঝাতে চেয়েছেন, ইরানের বিরুদ্ধে ইজ়রায়েল সামরিক সংঘাতে যেমন জয়ী হয়েছে, তেমনই সে দেশের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচিকেও স্থগিত করে দিতে পেরেছে।
ইজ়রায়েলের হামলায় ইরানে আরও এক পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যু হয়েছে। ওই বিজ্ঞানীর নাম সেদিঘি সাবের। এর আগে ইজ়রায়েলি হানায় ইরানে ন’জন পরমাণু বিজ্ঞানী মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছিল।
ইজ়রায়েলের সেনা জানিয়েছে, তাদের যুদ্ধবিমান পশ্চিম ইরানে তেল আভিভের দিকে তাক করে থাকা একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকারী সরঞ্জাম (মিসাইল লঞ্চার) ধ্বংস করেছে।
ইজ়রায়েলের হামলায় তাদের দেশে ন’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানাল ইরান। উত্তর ইরানের গিলান প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর সে দেশের সংবাদ সংস্থা ‘তাসনিম’কে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে ওই প্রদেশের বহুতল আবাসন লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েলি সেনা। এর ফলে মৃত্যু হয়েছে ন’জনের। আহত অনেকে।
সংঘর্ষবিরতি নিয়ে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তিনটি পোস্ট করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তৃতীয় পোস্টে তিনি লিখেছেন, “সংঘর্ষবিরতি এখন থেকে কার্যকর হচ্ছে। দয়া করে লঙ্ঘন করবেন না।” তবে এখনও পর্যন্ত সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানায়নি ইরান কিংবা ইজ়রায়েল। তবে দুই দেশের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সংঘর্ষবিরতির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে এই দাবিতে দুই তরফ থেকেই এখনও সরকারি সিলমোহর পড়েনি।
সংঘর্ষবিরতির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দাবি করেছে ইরান এবং ইজ়রায়েলের একাধিক সংবাদমাধ্যম। তবে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও পর্যন্ত কিছু জানায়নি তেহরান কিংবা তেল আভিভ।
এক ঘণ্টায় তিন বার ইজ়রায়েলে হামলা চালিয়েছে ইরান। আরও হামলার আশঙ্কা করছে তেল আভিভ। এই পরিস্থিতিতে বাসিন্দাদের বাঙ্কারে ঢোকার পরামর্শ দিয়েছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার।
ইজ়রায়েলের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, ইজ়রায়েলের রাজধানী জেরুসালেম লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হানা চালিয়েছে ইরান। তবে সেই হামলা প্রতিহত করা গিয়েছে বলে দাবি তেল আভিভের।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হানার পরেই সাধারণ মানুষকে সাবধান করতে এয়ার সাইরেন বাজছে ইজ়রায়েলে। সে দেশের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মধ্য এবং দক্ষিণ ইজ়রায়েলের শহরগুলিতেই এয়ার সাইরেন বাজছে।
ইজ়রায়েলের সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সে দেশে অন্তত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ ইজ়রায়েলের বিরশেবা শহরে তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহতও হয়েছেন বেশ কয়েক জন।
সংঘর্ষবিরতি নিয়ে ট্রাম্পের দাবি খারিজ করার পরেই ইজ়রায়েলে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে ইরান। এমনটাই জানিয়েছে ইজ়রায়েলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)।
উড়িয়ে দিয়েছে তেহরান। এর পরেই ফের পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে সমাজমাধ্যমে আরও একটি পোস্ট করলেন ট্রাম্প। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের দাবি, ইজ়রায়েল এবং ইরান প্রায় একইসঙ্গে তাঁর কাছে এসেছিল। দুই দেশই তাঁর কাছে গিয়ে ‘শান্তি’র কথা বলেছিল।
ওই পোস্টেই ইরান এবং ইজ়রায়েলের প্রসঙ্গে ট্রাম্প লিখেছেন, দুই দেশই অনেক কিছু পেয়েছে। তবে ধর্ম এবং সত্যের পথ থেকে সরে গেলে তারা (ইরান এবং ইজ়রায়েল) অনেক কিছু হারাতেও পারে। ঘটনাচক্রে ট্রাম্পের এই পোস্টের দু’ঘণ্টা আগেই যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত ট্রাম্পের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। সমাজমাধ্যমে আরাগচি লেখেন, যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনও সমঝোতাই হয়নি। এ বিষয়ে ইরানের সামরিক বাহিনী পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। ট্রাম্প-ঘোষিত যুদ্ধবিরতি ইরান অস্বীকার করার পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই পোস্ট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy