মা-মেয়ে: ইংরেজি শিখছেন মা। ছবিটি টুইট করেছেন মালালা নিজেই।
হ্যারি পটারের যদি একটা জাদু-ছড়ি থাকতে পারে, তবে নিদেনপক্ষে একটা জাদু-পেনসিল তো থাকতেই পারে মালালার।
ইচ্ছেটা আরও জোরদার হয়েছিল টিভিতে ছেলেটাকে দেখার পর। তালিবান শাসনে টিভি দেখা নিষিদ্ধ ছিল। বাড়িতে লুকিয়ে টিভি দেখতে হতো। সেখানেই একটা হিন্দি সিরিয়ালে সে দেখেছিল, জাদু-পেন্সিল নিয়ে কী কী কামালটাই না করছে বছর বারোর ছেলেটা। পেনসিল দিয়ে সাদা পাতায় যা-ই আঁকছে সে, চোখের পলকে সামনে হাজির সব।
এক দিন টিভির খবরটা জানাজানি হয়ে গেল। তালিবান দাপটে টিভি দেখা বন্ধ হল। কিন্তু জাদু-পেনসিলের স্বপ্নটা রয়েই গিয়েছিল মালালা ইউসুফজাইয়ের চোখে। ‘আই অ্যাম মালালা’তে ছোটবেলার এমন ছোট ছোট সাধের কথা জানিয়েছিলেন বিশ্বের কনিষ্ঠতম নোবলজয়ী।
কিন্তু দেরি হলেই বা কী, স্বপ্ন তো স্বপ্নই। জাদু-কলম ধরলেন বছর কুড়ির তরুণী মালালা। ছোটদের জন্য তাঁর প্রথম বই, ‘মালালা’স ম্যাজিক পেনসিল’। হাতে পেতে সেই অক্টোবর। প্রকাশনা সংস্থা ‘হ্যাচেট’ বইটি সম্পর্কে জানিয়েছে— ‘‘ছোটবেলায় একটা জাদু পেনসিলের সাধ ছিল মালালার। ইচ্ছে ছিল, ওই পেনসিল দিয়ে জাদু করে সে সবাইকে খুশি রাখবে, শহরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকা জঞ্জালের গন্ধ জাদু করে মুছে ফেলবে, আরও একটা ঘণ্টা বেশি ঘুমোবে। এই ছোট ছোট ইচ্ছেগুলো নিয়েই বইটা। তবে ও যত বড় হয়েছে, বুঝেছে গোটা পৃথিবীটাই ঠিক নেই, জাদু করে সারিয়ে তুলতে হবে তাকে।’’
মেয়ের লেখা বই পড়তে ইংরেজিটা শিখতে শুরু করেছেন তুর পেকাই ইউসুফজাই। মেয়ের ইচ্ছে, মা-ই প্রথম পড়বে তাঁর বই। মাকে ইংরেজি শেখানোর ছবি তুলে এ দিন টুইটও করেছেন মালালা। আর সেই ছবি ইতিমধ্যেই ২৬০০ বার ‘রিটুইট’ হয়েছে। ‘লাইক’ পড়েছে ২৩ হাজারটি। কেউ লিখেছেন, ‘‘এটা এক জন মায়ের কাছে বড় উপহার।’’ কেউ বা লিখেছেন, ‘‘এখনও ভাবলে অবাক হয়ে যাই, মালালা আর ওঁর পরিবার কী পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy