ছবি: রয়টার্স।
ভূমিকম্পের জেরে পেরুতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল কম করে ৭৫টি বাড়ি। গত কাল ভোরের এই ঘটনায় আহতের সংখ্যা ১০ পেরিয়েছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৫। তবে আশার কথা, এখনও পর্যন্ত কোনও মৃত্যুর খবর নেই প্রশাসনের কাছে। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে দেশ জুড়ে। জোরালো এই ভূমিকম্প পেরু পেরিয়ে প্রভাব ফেলেছে আর এক পড়শি দেশ ইকুয়েডরের উপরেও।
পেরুতে স্থানীয় সময় অনুযায়ী ভোর ৫টা ৫২ মিনিট নাগাদ এই কম্পন অনুভূত হয় বলে জানিয়েছে আমেরিকান ভূতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ। কম্পনের উপকেন্দ্র ছিল উপকূলবর্তী শহর বারানকার ৪২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। তবে এই অঞ্চলটিতে স্থানীয় উপজাতি ছাড়া খুব বেশি মানুষের বাস নেই। তাই সেখানে ক্ষয়ক্ষতি তুলনায় কম। কম্পন অনুভূত হয়েছে রাজধানী লিমা-সহ দেশের প্রায় অর্ধেক অঞ্চলেই। ভেঙে পড়েছে প্রায় ৭৫টি বাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি বেশির ভাগই কাঠের বলে জানিয়েছেন কয়েক জন প্রশাসনিক কর্তা।
কম্পনের জেরে লা জালকা জেলায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ৪৫ ফুট উচ্চতার শতাব্দী প্রাচীন এক গির্জা। তা ছাড়া, বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেওয়ায় অন্ধকারে ডুবে যায় দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ভূমিকম্পের জেরে পাথর পড়ে আটকে গিয়েছে বহু রাস্তাও। যার জেরে ব্যহত যান চলাচল। আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট ক্ষতিগ্রস্তদের চোখেমুখে। তাঁদেরই এক জনের কথায়, ‘‘আমরা এখন সকলে মিলে রাস্তায়, খুবই আতঙ্কে আছি আমরা।’’
দুর্গতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে পেরুর প্রেসিডেন্ট পেড্রো কাস্টিলোর টুইট, ‘‘পাশে আছি, ভাইয়েরা আপনারা কেউ একা নন।’’ সঙ্গে তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং দুর্গতদের সাহায্যের সঙ্গে জড়িত সব দফতরকেই তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কম্পনের মাত্রা জোরালো হলেও সুনামির আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে আমেরিকান ভূতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ। উল্লেখ্য, ৭.৫ মাত্রার এই ভূমিকম্পের কয়েক ঘণ্টা আগেই কম্পন অনুভূত হয় রাজধানী লিমাতে। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৫.২। তবে এই ঘটনাতে কেউ আহত হয়নি বলেই জানিয়েছে প্রশাসন। পেরুতে বছরে গড়ে ৪০০টি করে ভূমিকম্প হয়। প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার ‘রিং অব ফায়ার’-এর মধ্যে পড়ার কারণেই পেরু ভূমিকম্প-প্রবণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy