Advertisement
E-Paper

রিয়াধে কাল ট্রাম্প-শরিফ মুখোমুখি বৈঠক হতে পারে

অনেক দিন ধরেই সুযোগ খুঁজছিল ইসলামাবাদ। যাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মুখোমুখি বসে একটু কথা বলতে পারেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। কিন্তু ওয়াশিংটনের গ্রিন সিগন্যাল কিছুতেই মিলছিল না। পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে সেই সুযোগটা করে দিল সৌদি আরব।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৭ ১৬:০০
নওয়াজ শরিফ ও ডোনাল্ড ট্রাম্প।- ফাইল চিত্র।

নওয়াজ শরিফ ও ডোনাল্ড ট্রাম্প।- ফাইল চিত্র।

অনেক দিন ধরেই সুযোগ খুঁজছিল ইসলামাবাদ। যাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মুখোমুখি বসে একটু কথা বলতে পারেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। কিন্তু ওয়াশিংটনের গ্রিন সিগন্যাল কিছুতেই মিলছিল না। পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে সেই সুযোগটা করে দিতে পারে সৌদি আরব।

রিয়াধে রবিবার সৌদি আরব সহ ‘আরব ইসলামিক আমেরিকান সামিট’-এর সদস্য ৫৪টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে আলোচনার এক ফাঁকে পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে মুখোমুখি বসে একটু কথা বলে নিতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ক্ষমতাসীন হওয়ার পর এই প্রথম। পাক সংবাদপত্র ‘দ্য ডন’ এই খবর দিয়েছে।

একটি ‘কূটনৈতিক সূত্র’কে উদ্ধৃত করে পাক সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, ইসলামাবাদের অনুরোধ সৌদি আরবের তরফে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল আমেরিকার কাছে। তাতে বরফ কিছুটা গলেছে! ‘‘খুব অল্প সময়ের জন্য যাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে মুখোমুখি বসে একটু কথা বলতে পারেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, আমেরিকার তরফে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।’’

ইসলামাবাদের সরকারি সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ, সন্ত্রাসবাদ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে কথা বলবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। সৌদি আরবের রাজা সুলেমান বিন আবদুল আজিজের আমন্ত্রণে ৫৪টি দেশের ‘আরব ইসলামিক আমেরিকান সামিট’-এ যোগ দিতে রিয়াধে পৌঁছে গিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন- ধর্ষণের চেষ্টা করতেই ভণ্ড ‘বাবা’র যৌনাঙ্গ কেটে নিলেন তরুণী!

ক্ষমতাসীন হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্টের এটাই প্রথম বিদেশ সফর। যেটা আরও তাৎপর্যের, তা হল, আমেরিকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কয়েকটি মুসলিম দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর তাঁর প্রথম বিদেশ সফরের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘ডেস্টিনেশন’ হচ্ছে সৌদি আরব সহ আরব দেশগুলির এই শীর্ষ সম্মেলন।

হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর, এই সম্মেলনে ইসলাম নিয়ে তাঁর মতামত ৫৪টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের জানাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শনিবারই তিনি রিয়াধে পৌঁছে গিয়েছেন। ওয়াশিংটন থেকে রওনা হওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘‘আমি মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে কথা বলব (ইসলাম নিয়ে)। অন্যান্য ধর্মের মানুষের প্রতি ঘৃণা, বিদ্বেষ দূর করা আর জঙ্গিয়ানার মূলোচ্ছেদ করার জন্য ওঁদের (মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের) এগিয়ে আসতে বলব।’’

US Pakistan Saudi Arab
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy