Advertisement
E-Paper

ব্রেক্সিট নেতার গায়ে মিল্কশেক!

সেই ভোটের প্রচারে নেমে এমন হেনস্থার মুখেই পড়তে হয়েছে নেতাদের। নাইজেলের দিকে যে ৩২ বছরের যুবক মিল্কশেক ছুড়েছেন, তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে পল ক্রোদার নামে ওই যুবকের বিরুদ্ধে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৯ ০১:৩৬
হেনস্থা: ব্রেক্সিট পার্টির নেতা নাইজেল ফারাজের (বাঁ দিকে) গায়ে মিল্কশেক ছোড়ার পরে হামলাকারীকে (সাদা টি-শার্ট) সরিয়ে দিচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষী। নিউক্যাসেলে। ছবি: রয়টার্স

হেনস্থা: ব্রেক্সিট পার্টির নেতা নাইজেল ফারাজের (বাঁ দিকে) গায়ে মিল্কশেক ছোড়ার পরে হামলাকারীকে (সাদা টি-শার্ট) সরিয়ে দিচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষী। নিউক্যাসেলে। ছবি: রয়টার্স

আক্রমণের ধরনটা চালু হয়েছে দিন কয়েক আগে থেকেই। ব্রিটেনের পথে বিক্ষোভের নয়া হাতিয়ার হয়ে উঠেছে মিল্কশেক! এ বার তার নিশানায় ব্রেক্সিট পার্টির নেতা নাইজেল ফারাজ। ইউকে ইন্ডিপেনডেন্স পার্টি (ইউকেআইপি)-র কার্ল বেঞ্জামিন এবং ইংলিশ ডিফেন্স লিগ-এর প্রাক্তন নেতা টমি রবিনসনের দিকেও ধেয়ে এসেছে মিল্কশেক। সেই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন নাইজেল ফারাজ। উল্লেখ্য, এঁরা সকলেই ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনে লড়ছেন।

সেই ভোটের প্রচারে নেমে এমন হেনস্থার মুখেই পড়তে হয়েছে নেতাদের। নাইজেলের দিকে যে ৩২ বছরের যুবক মিল্কশেক ছুড়েছেন, তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে পল ক্রোদার নামে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। নর্দামব্রিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, নিউক্যাসেলে গত কাল দুপুর একটা নাগাদ সিটি সেন্টারে নাইজেলের দিকে মিল্কশেক ছোড়েন পল। বৃহস্পতিবার নির্বাচনের আগে প্রচারে এসেছিলেন ব্রেক্সিট পার্টির নেতা। নিউক্যাসেল-এ তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তৃতাও দিয়েছিলেন। পল পরে বলেছেন, ‘‘আমি জানতাম না নাইজেল শহরে এসেছেন। পরে মনে হল, বিক্ষোভ দেখানোর এমন সুযোগ আর পাব না।’’ তাঁর দাবি, ‘‘ওঁদের মতো লোকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর অধিকার আছে আমাদের। বর্ণবৈষম্যের ঘৃণ্য নজির তৈরি করে ওঁরা যা ক্ষতি করছেন, তার চেয়ে ওঁর গায়ে ঢালা মিল্কশেক ঢের নিরাপদ।’’ হাতকড়া হাতে পল সাফ জানান, যা করেছেন, তার জন্য তিনি অনুতপ্ত নন। আজই তাঁকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলার কথা।

নাইজেল ওই আক্রমণের মুখে দৃশ্যত কিছু করতেই পারেননি। স্যুট থেকে মিল্কশেক কোনও মতে মুছে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যান। তাঁদের উদ্দেশে নাইজেলকে বলতে শোনা যায়, ‘‘একেবারে ব্যর্থ আপনারা। আমি দূর থেকে দেখতে পেয়েছিলাম ওঁকে। আপনারা আটকাতে পারলেন না!’’ পরে নাইজেলের টুইট: ‘‘ব্রেক্সিট-বিরোধীদের কেউ কেউ এত কট্টর হয়ে উঠেছেন যে সাধারণ প্রচার করাটাও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সভ্য গণতন্ত্রকে চলতে দিতে হলে পরাজিতদের সমর্থনও প্রয়োজন হয়। হেরে গিয়েছেন বুঝে পরাজিতদের ফের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। এ ভাবে গণতন্ত্র সক্রিয় থাকে। কিন্তু এখানে গণভোটের ফল রাজনৈতিক নেতারাও মানতে পারেননি। তাই এই জায়গায় এসে পৌঁছেছি আমরা।’’

মিল্কশেক ছোড়ার ঘটনার জেরে গত সপ্তাহেই ব্রেক্সিট পার্টির প্রচার মিছিলের কাছে ম্যাকডোনাল্ডের একটি বিপণিকে মিল্কশেক এবং আইসক্রিম বিক্রি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল পুলিশ। রেস্তরাঁর কর্মী সূত্রেই বিষয়টি জানা গিয়েছিল। তবে নর্দামব্রিয়া পুলিশ নাইজেলের সভার আগে প্রতিবাদ রুখতে তেমন কোনও নির্দেশ জারি করেনি।

Brexit London
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy