১। রোমের জি ২০-র দ্বিতীয় অধিবেশনের পরে মোদী যাবেন গ্লাসগোয়। সেখানে রবিবার থেকে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত ২৬তম ‘কনফারেন্স অব পার্টিজ’ বসতে চলেছে। যা আদতে জলবায়ু সমস্যার সমাধানে রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিকাঠামোগত সম্মেলন। ওই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবে ২০০টিরও বেশি দেশ। জি-২০ জলবায়ু সংক্রান্ত অধিবেশনকে গ্লাসগোর সম্মেলনে প্রথম পর্যায় বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। কেন না জি-২০-র বৈঠকে রাষ্ট্রনেতারা যা বলবেন, তা নিয়ে আলোচনা হবে গ্লাসগোয়।
২। এই মুহূর্তে বিশ্বের মোট গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের ৮০ শতাংশের জন্য দায়ী পাঁচটি দেশ। চিন, আমেরিকা, ভারত, ব্রাজিল এবং জার্মানি। পাঁচটি দেশই জি-২০-র সদস্য।
৩। গ্রিন হাউস গ্যাস জলবায়ু দূষণের অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ভারত এই গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনে গোটা বিশ্বে তৃতীয় স্থানে। ভারতের আগে রয়েছে চিন এবং আমেরিকা। গ্লাসগোয় রাষ্ট্রপুঞ্জের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সম্মেলনে মোদীর উপস্থিতি এবং তাঁর বক্তব্যকে তাই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
৪। আমেরিকা দীর্ঘদিন ধরেই ভারতকে জলবায়ু বিষয়ে সতর্ক করেছে। ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে কলকারখানা এবং শিল্পের কাজ চলতে থাকবে। সে ক্ষেত্রে জলবায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে অন্যান্য দেশগুলি যে পদক্ষেপ করেছে, তা ভারতকেও অনুসরণ করতে বলেছিল আমেরিকা। বৃক্ষরোপণ, প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছিল। সেই পরামর্শ ভারত কতটা মেনেছে, বা আদপেই মেনেছে কি না, তা জানা যাবে মোদীর বক্তব্যে।
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় রাষ্ট্রপুঞ্জের কনফারেন্স অব পার্টিজ চলবে ১৩ দিন ধরে। ৩১ অক্টোবর শুরু হয়ে ১২ নভেম্বর শেষ হবে সম্মেলন। রোম থেকে সরাসরি মোদী যাবেন গ্লাসগোয়। মোদীর মতো অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রনেতারা রোম থেকে সরাসরি গ্লাসগোয় পৌঁছবেন রাষ্ট্রপুঞ্জের সম্মেলনে যোগ দিতে।