Advertisement
E-Paper

বিচ্ছিন্ন স্বামীকে ফিরে পেতে ছোট্ট মেয়েকে চামচ ভর্তি নুন গেলালেন মা

তিন বাচ্চা নিয়ে একাই থাকতেন বছর তেইশের কিম্বার্লি মার্টিনেজ। স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছে বেশ কিছু দিন। তবে শত চেষ্টা করেও ভুলতে পারেননি তাঁকে। সাউথ কারোলাইনার স্পার্টানবার্গের বাড়িতে ফের তিনি ফিরে আসবেন এমনটাই আশা ছিল কিম্বার্লির। স্বামীর মনোযোগ পেতে নিজের ১৭ মাসের শিশুকন্যাকে অনেকটা নুন খাইয়ে দিয়েছিলেন। আর তাতেই মারা গেল ছোট্ট মেয়েটা।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৬ ১৭:০৬
কিম্বার্লি মার্টিনেজ।

কিম্বার্লি মার্টিনেজ।

তিন বাচ্চা নিয়ে একাই থাকতেন বছর তেইশের কিম্বার্লি মার্টিনেজ। স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছে বেশ কিছু দিন। তবে শত চেষ্টা করেও ভুলতে পারেননি তাঁকে। সাউথ কারোলাইনার স্পার্টানবার্গের বাড়িতে ফের তিনি ফিরে আসবেন এমনটাই আশা ছিল কিম্বার্লির। স্বামীর মনোযোগ পেতে নিজের ১৭ মাসের শিশুকন্যাকে অনেকটা নুন খাইয়ে দিয়েছিলেন। আর তাতেই মারা গেল ছোট্ট মেয়েটা।

পুলিশ জানিয়েছে, গত রবিবার নিজের মেয়ে পেটনকে এক চামচ নুন খাইয়ে দেন। পুলিশের আইনজীবী ব্যারি বার্নেট আদালতে দাবি করেছেন, তদন্তকারীদের কাছে নিজের কুকর্মের কথা স্বীকার করেছেন কিম্বার্লি। “পেটনকে মাত্র এক চামচ নুন খাইয়েছিলাম। তার পর তা গেলানোর জন্য জল খাইয়ে দিই ওকে” —কিম্বার্লি বলেছেন পুলিশের কাছে। আইনজীবীরাও মানছেন, স্বামীর মন কাড়তেই নিজের মেয়েকে অসুস্থ করতে চেয়েছিলেন কিম্বার্লি। শুধু তাই নয়, স্বামীর সঙ্গে ফের একসঙ্গে থাকার কথাও চিন্তাভাবনা করছিলেন তিনি। তবে তদন্তকারী বা আইনজীবী ব্যারি বার্নেটের যুক্তি মানতে নারাজ কিম্বার্লির বোন টিফানি লিজার। টিফানির দাবি, “মা হিসেবে কিম্বার্লির কোনও তুলনা হয় না। নিজের মেয়েদের ক্ষতি হোক এমন কোনও কাজ সে করবে না। অন্যরা যা ভাবছে তা হয়তো ঘটেইনি।”

কিম্বার্লির পুলিশকে জানিয়েছেন, নুন খাওয়ানোর কিছু ক্ষণ পর পেটনের ভয়ানক চিৎকারে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। প্রবল জ্বর আর পেটে ব্যথা শুরু হয় পেটনের। সে দিনই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানান, নুনের ফলে বিষক্রিয়া হয়ে গিয়েছে তার। দিন দু’য়েক পরে চিকিৎসায় সাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেয় পেটন। জীবনদায়ী ব্যবস্থার সাহায্য নিয়েও বাঁচানো যায়নি তাকে। বুধবার দুপুরে হাসপাতালে মারা যায় সে।

চিকিৎসকেরা অবশ্য জানিয়েছেন, ১৭ মাসের শিশুর দেহে এক চামচ নুন মিশে গেলে তা সব সময় প্রাণঘাতী হবে এমন নয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, সামান্য নুন খেয়েও মানবদেহের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। কারণ, রক্তে নুনের মাত্রা বেড়ে গেলে তা ভয়ানক হতে পারে। কোষের থেকে জল বের হয়ে গিয়ে তা রক্তে মিশে যেতে থাকে। এতে মস্তিষ্কের কোষে ক্ষতি হতে পারে। ফুসফুসে জল জমতে পারে। ফলে নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হয়। কিডনিও অচল হয়ে যেতে পারে।

পেটনের মৃত্যুর পর শোকস্তব্ধ পরিবারের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ওর মতো সুন্দর, হাসিখুশি শিশু হয় না। একেবারেই কাঁদুনে মেয়ে ছিল না পেটন। বরং সব সময় আশপাশের মানুষদের হাসাতে থাকত। নেল পলিশ পরতে আর মিনি মাউসের কার্টুন দেখতে ও এত ভালবাসত।”

ঘটনার পর কিম্বার্লিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর দুই মেয়েকে আপাতত চাইল্ড কেয়ারে রাখা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ২০ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে কিম্বার্লির।

আরও পড়ুন

বাঙালিনীর মনোনয়ন ঘিরে সরগরম বিলিতি রাজনীতি

Mom Separated Husband Poisons Baby
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy