শুধু ফু শান-ই নয়, শহরের প্রতিটি মর্গের ছবিই এক। কোথাও আর মরদেহ রাখার জায়গা নেই। ওমিক্রনের সংক্রমণ ছড়ানোর পর গত তিন মাসে হংকঙে ১০ লক্ষের কাছাকাছি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি মানুষের। এঁদের মধ্যে বেশির ভাগই টিকা না নেওয়া বয়স্ক মানুষ। এমনটাই দাবি প্রশাসনের।
কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তেই মর্গগুলির পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে হংকঙে। ছবি: রয়টার্স।
পিপিই কিট পরে মরদেহ রাখতে ব্যস্ত কর্মীরা। মর্গে একের পর এক কোভিডে মৃতদের মরদেহ এসে পৌঁছচ্ছে। ফুরসতের জো নেই কর্মীদের। মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় মর্গগুলি ক্রমেই ভরে উঠেছে। মরদেহ রাখার জায়গা না থাকায় এ বার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শিপিং কন্টেনারে দেহ রাখার ব্যবস্থা করছে হংকং প্রশাসন। ফু শান মর্গের সামনে বুধবার ট্রাক থেকে এক এক করে মরদেহ নামাতে দেখা গিয়েছে। সেই মরদেহগুলি কন্টেনারে ভরা হয়।
শুধু ফু শান-ই নয়, শহরের প্রতিটি মর্গের ছবিই এক। কোথাও আর মরদেহ রাখার জায়গা নেই। ওমিক্রনের সংক্রমণ ছড়ানোর পর গত তিন মাসে হংকঙে ১০ লক্ষের কাছাকাছি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি মানুষের। এঁদের মধ্যে বেশির ভাগই টিকা না নেওয়া বয়স্ক মানুষ। এমনটাই দাবি প্রশাসনের।
সৎকার কাজের সঙ্গে জড়িত এক ব্যবসায়ীর দাবি, শহরে যে হারে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে তাতে কফিনের সংখ্যাতেও টান পড়ছে। কফিনের চাহিদা বাড়তে থাকায় দু’টি জাহাজে করে কফিন নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হংকঙের প্রশাসনিক প্রধান ক্যারি ল্যাম। তিনি আরও জানিয়েছেন, মৃতের পরিবারের হাতে মরদেহ কী ভাবে তুলে দেওয়া যায় সেই চিন্তাভাবনা চলছে। যাতে পরিবারগুলি নিজেরাই সেই আত্মীয়ের সৎকার করতে পারেন।
মেনল্যান্ড চায়নায় সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বাসিন্দাদের ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, শেনজেন শহরে ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়ায় সোমবার থেকেই লকডাউন জারি করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy