Advertisement
E-Paper

Covid in south Korea: এক দিনে আক্রান্ত ৪ লক্ষ! কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধিতে চিনকে টেক্কা দক্ষিণ কোরিয়ার

মৃত্যুর নিরিখেও মঙ্গলবার রেকর্ড গড়েছে দেশটি। পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। যা গত দু’বছর ধরে চলা অতিমারির মধ্যে সর্বাধিক।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২২ ০৮:৩১
আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে কোরিয়ায়

আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে কোরিয়ায় ছবি রয়টার্স।

‘জ়িরো কোভিড’ নীতি নিয়ে চলা দেশ চিনে সংক্রমণের বহর হঠাৎ এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে একাধিক শহরে ফের শুরু হয়েছে লকডাউন। এ দিকে গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য কর্তাদের কপালে বড় ভাঁজ ফেলেছে তাদের পড়শি দক্ষিণ কোরিয়ার করোনা পরিস্থিতিও। সে দেশের জাতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪,০০,৭৪১ জন আক্রান্ত হয়েছেন সে দেশে! দক্ষিণ কোরিয়ায় এখনও পর্যন্ত যা সর্বোচ্চ জানা যাচ্ছে।

মৃত্যুর নিরিখেও মঙ্গলবার রেকর্ড গড়েছে দেশটি। পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। যা গত দু’বছর ধরে চলা অতিমারির মধ্যে সর্বাধিক। এক সঙ্গে ৪ লক্ষের উপর মানুষ সংক্রমিত হওয়ায় মোট আক্রান্ত সাড়ে সাত লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে কোরিয়া ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এজেন্সি (কেডিসিএ)। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় সংক্রমণ মূলত স্থানীয় ভাবেই ছড়িয়েছে।

অন্য দিকে, দ্রুত হাসপাতালের শয্যা খালি করতে শুরু করেছে চিন। বুধবার প্রায় সাড়ে তিন হাজার নতুন ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীর খোঁজ মিলেছে। তড়িঘড়ি ব্যবস্থা না-নিলে ফের সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। চিনের বেশ কিছু শহরে ইতিমধ্যে লকডাউন করা হয়েছে। সাংহাই শহরের প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষ ঘরবন্দি। হংকং-এ হাসপাতালের সামনে রোগীদের দাঁড়িয়ে থাকার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। প্রচুর অস্থায়ী হাসপাতাল গড়ে তোলা হচ্ছে।

এই দু’টি দেশ ছাড়া সংক্রমণ বৃদ্ধির ইঙ্গিত আগেই মিলেছে আমেরিকাতেও। পিছিয়ে নেই জার্মানি এবং ভিয়েতনামও। সেই সূত্রে প্রশ্ন উঠছে, বিশ্ব জুড়ে যেখানে টিকাকরণের হার এখন অনেক বেড়েছে সেখানে সংক্রমণের হঠাৎ এই ঊর্ধ্বমুখী গতির কারণ কী? এর জবাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) কোভিড-১৯ টেকনিক্যাল দলের প্রধান মারিয়া ভ্যান খারকোভ জানান, বিধিনিষেধ যত শিথিল হবে তত সংক্রমণের বহর আরও বাড়বে। জনসংখ্যার অধিকাংশের টিকা নেওয়া থাকলেও এ ক্ষেত্রে তাতে কিছু যায় আসে না। তাঁর টুইট, ‘‘এই সংক্রমণবৃদ্ধির ঘটনায় অবাক হওয়ার কোনও কারণ নেই। প্রতিষেধক আক্রান্তের শারীরিক অবস্থার বিশেষ অবনতির হাত থেকে রক্ষা করায় কার্যকর ভূমিকা পালন করে, সংক্রমণের জেরে মৃত্যু আটকাতেও তা সক্ষম। তবে সংক্রমণ ঠেকাতে টিকার সেই অর্থে কোনও ভূমিকা কিন্তু নেই।’’

মারিয়া জানান, এখন মূলত যে স্ট্রেনটি বিশ্ব জুড়ে করোনার অস্তিত্বকে জানান দিচ্ছে তা হল অতি-সংক্রামক বলে পরিচিত ওমিক্রন। দেখা যাচ্ছে, বিএ.১ এবং বিএ.২ নামে তার দুই সাব-ভেরিয়েন্টই মূলত এই সংক্রমণবৃদ্ধির মূল কান্ডারি। গত ৩০ দিনে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষায় উঠেছে এসেছে, ৯৯.৯ শতাংশই ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট। হু-র তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত বিশ্ব জুড়ে সামগ্রিক সংক্রমণ শতাংশের নিরিখে প্রায় ৮% বৃদ্ধি পেয়েছে। জানুয়ারি মাসের পর থেকে নিম্নমুখী গ্রাফে হঠাৎ এই ধাক্কা চিন্তার বলেই মনে করছে তারা। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় ফের ‘কনট্যাক্ট ট্রেসিং’ এবং বিচ্ছিন্নবাসের ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ারই প্রস্তাব দিয়েছে হু। এর মাঝেই তাদের দেশে দু’জনের শরীরে ওমিক্রনর বিএ.১ এবং বিএ.২ স্ট্রেনের মিলিত বৈশিষ্টের একটি স্ট্রেনের হদিস মিলেছে বলে জানাল ইজ়রায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আক্রান্তদের হালকা উপসর্গ রয়েছে।

Covid korea
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy