জামেলা মহম্মদ। ছবি: সংগৃহীত।
হিজাব না খোলায় এক মুসলিম মহিলাকে ব্যাঙ্ক থেকে জোর করে বের করে দিলেন কর্মীরা। সেই সঙ্গে হুমকিও দেন এখনই না বেরোলে পুলিশ ডাকতে বাধ্য হবেন। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে ওয়াশিংটনের সাউন্ড ক্রেডিট ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের একটি শাখায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, জামোলা মহম্মদ নামে এক মুসলিম মহিলা ওই দিন ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন টাকা জমা করতে। ব্যাঙ্কে ঢোকার আগেই একটি বোর্ডে লেখা ছিল— সানগ্লাস, টুপি এবং হুড পুরোপুরি নিষিদ্ধ। জামেলার দাবি, ওই দিন প্রার্থনার দিন ছিল বলে তিনি হুড খোলেননি। কিন্তু ব্যাঙ্কে তা নিষিদ্ধ থাকায় হুডের উপর একটি স্কার্ফ জড়িয়ে নেন। অভিযোগ, ব্যাঙ্কের কর্মীরা তাঁকে হিজাব খুলতে বলেন। না খুললে পরিষেবা দেওয়া হবে না বলেও জানান ব্যাঙ্ক কর্মীরা। সিটিসিটি ফুটেজে ধরা পড়ে, ব্যাঙ্কের এক মহিলা কর্মী, যাঁকে সুপারভাইজার বলা হয়, তিনি জামেলার প্রতি চিত্কার করে হিজাব খোলার নির্দেশ দিচ্ছেন। হুমকি দিচ্ছেন, হিজাব না খুললে ৯১১-তে ফোন করবেন। ওই কর্মী কাউন্টিংও শুরু করে দেন। এমন অনভিপ্রেত ঘটনায় মুষড়ে পড়েন জামেলা। তাঁর অভিযোগ, দু’জন পুরুষ গ্রাহক টুপি পরে ব্যাঙ্কে ঢুকলেও তাঁদের বাধা দেননি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। কেন তাঁদের ক্ষেত্রে নিয়ম আলাদা। এই প্রশ্ন করায় তাঁর দিতে তেড়ে আসেন ব্যাঙ্ককর্মীরা, দাবি জামেলার।
আরও পড়ুন: ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রতি চিন শ্রদ্ধাশীল, নাম না করে বার্তা দিল বেজিং
পরে ফেসবুকে গোটা ঘটনার বিবিরণ দিয়ে জামেলা লেখেন, চাই না আমার সঙ্গে যা ঘটেছে এমনটা অন্য কারও সঙ্গে হোক। এবং কাউকে যেন এমন আচরণের মুখোমুখি হতে না হয়! তাঁর প্রশ্ন, এক জন কৃষ্ণাঙ্গ মুসলিম মহিলা হওয়ার জন্য তাঁকে এমন হেনস্থার মুখে পড়তে হবে?
ফেসবুক থেকে নেওয়া ছবি।
জামেলার এই ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর বিভিন্ন মহল থেকে বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ তুলে তীব্র প্রতিক্রিয়া আসে। ব্যাঙ্কের শীর্ষ কর্তাদের কাছে বিষয়টি পৌঁছলে তাঁরা জানান, পোস্ট হওয়া ভিডিওটি খতিয়ে দেখার পরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এমন ঘটনা কাম্য নয় বলেও জানান তাঁরা। ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে জামেলার কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেওয়া হয় ব্যাঙ্কের তরফে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy