পাশের যাত্রীকে নিয়ে অস্বস্তি হওয়ায় বিমানে নিজের আসন বদলানোর অনুরোধ করেছিলেন মাত্র। তাই বলে বিমান থেকেই নেমে যেতে হবে তাঁকে, ভাবতে পারেননি হাকিমা আবদুল্লে।
মেরিল্যান্ডের বাসিন্দা হাকিমা। গত বুধবার সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের বিমানে শিকাগো থেকে সিয়াটল যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। হাকিমা জানান, ওই দিন সব স্বাভাবিকই ছিল। নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে বিমানেও ওঠেন তিনি। তবে পাশের আসনে বসা ব্যক্তির আচরণে তাঁর অস্বস্তি হতে থাকে। কিছু ক্ষণ পর তিনি বিমানসেবিকাকে ডেকে অনুরোধ করেন, যাতে তাঁকে অন্য কোনও আসনে বসার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
হাকিমা জানাচ্ছেন, এর পরেই তাঁকে বিমান থেকে নেমে আসতে বলা হয়। কেন তাঁকে নেমে আসতে হচ্ছে তা বার বার জিজ্ঞাসা করলেও বিমানসংস্থার কর্মীরা তাঁর কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। এর পর তাঁকে টার্মিনালে বসিয়ে রেখে বিমান চলে যায় গন্তব্যে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত নিরাপত্তাকর্মীরাও জিজ্ঞাসা করেন বিমান থেকে ওই মহিলাকে কেন নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে সংস্থার কর্মীরা জানান, বিমানে ওই মহিলার অস্বস্তি হচ্ছিল। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ ও অপমানিত হাকিমার প্রশ্ন, পরনে হিজাব থাকায় ও মুসলিম সম্প্রদায়ের বলেই কি তাঁর সঙ্গে এমন আচরণ করেছেন ওই বিমানকর্মীরা?
এ দিনের ঘটনা নিয়ে বিমানসংস্থার কোনও যুক্তি মানতে নারাজ কাউন্সিল অব আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্স। কাউন্সিলের এক অফিসারও বলেন, হাকিমাকে অযথা হেনস্থা করেছে বিমানসংস্থা। ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন হাকিমার স্বামীও। তবে নিজেদের তরফে কোনও ভুল হয়নি বলে সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন সাউথওয়েস্ট বিমানসংস্থার মুখপাত্র ব্যান্ডি কিংগ। তিনি বলেন, ‘‘ওই ঘটনা নিয়ে যেটুকু তথ্য পেয়েছি, তাতে নিয়মকানুন মানতেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে মনে হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy