জলসার ধ্বংসস্তূপ। ছবি: ভিডিয়ো ফুটেজ থেকে।
গানের জলসায় আকাশপথে হামলা চালিয়ে ৬০ জনকে হত্যা করল মায়ানমারের সেনা। রবিবার মায়ানমারের কাচিনে এই ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে দর্শক থেকে শিল্পী, সকলেই রয়েছেন।
ছুটির দিন গানের জলসার আয়োজন করেছিল মায়নামারের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একটি সংগঠন। জলসা চলছিল, সেখানে গানও গাইছিলেন শিল্পীরা। চলছিল, হাততালি, হুল্লোড়। গণ্যমান্য বহু অতিথি ছিলেন আমন্ত্রিতদের আসনে। জমে উঠেছিল সংগঠনের জন্মদিনের উদ্যাপন অনুষ্ঠান। কিন্তু কয়েক মুহূর্তে এই দৃশ্যপট বদলে গেল। দেখা গেল, অতিথিরা আসন থেকে ছিটকে পড়েছেন মাটিতে। রক্তাক্ত শরীর। গানের মঞ্চও ভেসে যাচ্ছে রক্তে। সেখানে পড়ে রয়েছে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়া কতগুলো শরীর। দর্শক আসনে নেতিয়ে পড়ে রয়েছ সার সার দেহ। রবিবার মায়ানমারের কাচিনে একটি গানের জলসায় এমনই হামলা চালাল দেশের জুন্টা সরকারের সেনাবাহিনী।
কাচিন মায়ানমারের উত্তরের রাজ্য। দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং আদি বাসিন্দা কাচিন জাতির মানুষই থাকেন এ রাজ্যে। গানের জলসার আয়োজন করেছিল কাচিনদেরই সরকার-বিরোধী একটি বিদ্রোহী সংগঠন কাচিন ইনডিপেন্ডেন্স অর্গানাইজশেন (কেআইও)। মায়ানমারের সেনা নিয়ন্ত্রিত জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে বরাবর সরব হয়েছে এই গোষ্ঠী। সশস্ত্র আন্দোলন করেছে। রবিবার এই সংস্থার ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছিলেন সদস্যরা। সেখানেই হামলা চালায় সেনা। কাচিনের শিল্পী সম্প্রদায়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রায় ৩০০-৫০০ লোকের জমায়েত হয়েছিল ওই অনুষ্ঠানে। রাত ৮টা নাগাদ তাঁদের উপর আকাশপথে বোমা বর্ষণ করে সেনাবাহিনী।
ওই হামলায় কেআইও-র সশস্ত্র বাহিনীর অনেকেই মারা গিয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে অনুষ্ঠানে উপস্থিত বহু ব্যবসায়ীর, মঞ্চে থাকা গায়ক, কি-বোর্ড প্লেয়ার-সহ বহু শিল্পীর। মৃত্যু হয়েছে বহু সাধারণ মানুষেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy