Advertisement
E-Paper

‘অপারেশন ১০২৭’ চলবে, চিনের মধ্যস্থতার চেষ্টা ব্যর্থ করে মায়ানমারের বিদ্রোহী জোট কী সিদ্ধান্ত নিল?

নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে মায়ানমার সেনার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী জোটের শুরু করা ওই অভিযানের পোশাকি নাম ‘অপারেশন ১০২৭’। সেই অভিযানের জেরে ইতিমধ্যেই সে দেশের প্রায় অর্ধেক বিদ্রোহীদের দখলে চলে গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:২২
মায়ানমারে চলছে সেনা-বিদ্রোহী সংঘর্য।

মায়ানমারে চলছে সেনা-বিদ্রোহী সংঘর্য। ছবি: সংগৃহীত।

মায়ানমারে যুদ্ধবিরতির জন্য চিনের মধ্যস্থতার চেষ্টা কার্যত ব্যর্থ হল। তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী— ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র নয়া জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ সে দেশের সামরিক জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।

নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে মায়ানমার সেনার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী জোটের শুরু করা ওই অভিযানের পোশাকি নাম ‘অপারেশন ১০২৭’। সেই অভিযানের জেরে ইতিমধ্যেই সে দেশের প্রায় অর্ধেক বিদ্রোহীদের দখলে চলে গিয়েছে। উত্তর, পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম মায়ানমারের শান, চিন আর সাগিয়াং প্রদেশ রয়েছে এই তালিকায়। তিন সংগঠনের জোটের পাশাপাশি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘চিন ন্যাশনাল আর্মি’ (সিএনএ) এবং চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স (সিডিএফ), ‘কাচিন লিবারেশন ডিফেন্স ফোর্স’ (কেএলডিএফ), পিপল’স ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)-ও শামিল হয়েছে জুন্টা বিরোধী যুদ্ধে।

মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী শক্তির স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’, জুন্টা বিরোধী রাজনৈতিক দল ‘শান স্টেট প্রোগ্রেস পার্টি’ বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। গৃহযুদ্ধের জেরে ঘরছাড়া হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ (যার মধ্যে কয়েক হাজার আশ্রয় নিয়েছেন উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য মিজ়োরামে)। এই পরিস্থিতিতে ডিসেম্বরের গোড়ায় চিনা পিপল্‌স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র কয়েক জন উচ্চপদস্থ আধিকারিক যুদ্ধবিরতির জন্য সক্রিয় হয়েছিলেন। মায়ানমারের সরকারি টিভি চ্যানেল ‘গ্লোবাল নিউজ লাইট অব মায়ানমার’-এ সে কথা জানিয়েছিলেন, সামরিক জুন্টা সরকারের মুখপাত্র জ় মিন তুন।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত বেজিংয়ের সেই উদ্যোগ বিফল হতে চলেছে বলে আমেরিকাস্থিত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা ইউএস ইনস্টিটিউট অব পিস (ইউএসআইপি) জানিয়েছে। তাদের রিপোর্ট বলছে, ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়ান্স’ এবং আরও দু’টি সশস্ত্র গোষ্ঠী মিলে জুন্টা সেনার উপর হামলা চালাতে ‘ব্রিগেড ৬১১’ নামে একটি বাহিনী গঠন করেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জনজাতিদের নিয়ে গঠিত হয়েছে ওই বাহিনী। তারাই এই মুহূর্তে রয়েছে লড়াইয়ের প্রথম সারিতে।

Myanmar Myanmar Coup China PLA
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy