ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে ফেরার পরে নরেন্দ্র মোদীর প্রথম ওয়াশিংটন সফরে আমেরিকা থেকে সি-১৩০ হারকিউলিস সামরিক পরিবহণ বিমান, পি-এআইটআই সামুদ্রিক নজরদারি বিমান কেনার চুক্তি করতে পারে দিল্লি। পরমাণু ক্ষেত্রে বিনিয়োগ নিয়েও আলোচনা হবে। জিই এবং ওয়েস্টিংহাউসসংস্থা থেকে পরমাণু চুল্লি কেনার বিষয়েও কথা হতে পারে।
বুধবার ফ্রান্স সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটন রওনা হয়েছেন। বৃহস্পতিবার তাঁর সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখোমুখি বৈঠক হবে। দু’দেশের বৈঠকে এ বার মূলত শুল্ক, বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রই প্রধান বিষয় হয়ে উঠবে বলে কূটনীতিকরা মনে করছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের আগে গত ১ ফেব্রুয়ারির বাজেটে মোদী সরকার ২০টি আমেরিকা থেকে আমদানি করা পণ্যে শুল্ক কমিয়েছে। আমেরিকার সংস্থাগুলি যাতে ভারতের পরমাণু বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে লগ্নি করতে পারে, তার জন্য পরমাণু দুর্ঘটনা দায়বদ্ধতা আইন সংশোধন করার ঘোষণা করা হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসার পরে এই দুই সদর্থক বার্তা নিয়েই ওয়াশিংটন পৌঁছচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
কূটনীতিকরা মনে করছেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরে মোদীর প্রথম সফরে প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে নতুন ঘোষণা হতে পারে। ক্ষমতায় ফেরার আগে থেকেই ট্রাম্প ভারতের চড়া শুল্ক নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ভারতের চড়া শুল্কের ফলে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ঘাটতির দোহাই দিয়ে ট্রাম্পের দিক থেকে আমেরিকা থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার জন্য চাপ আসবে। ভারত আমেরিকা থেকে আমদানি করা পণ্যে চড়া শুল্ক চাপায় বলে অভিযোগ খারিজ করতেই বাজেটে ২০টি পণ্যে চড়া শুল্ক কমানো হয়েছে। মোট ২৮টি পণ্যে চড়া শুল্ক ছিল। এর মধ্যে ৮টি পণ্যে আগেই চড়া শুল্কপ্রত্যাহার করা হয়েছিল। এ বার বাজেটে আমেরিকার হার্লে ডেভিডসন, টেসলা, অ্যাপলের মতো সংস্থার পণ্য আমদানিতে শুল্ক কমানো হয়েছে। কিন্তু মোদীর সফরের আগে আমেরিকা সে দেশে আমদানি হওয়া ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়ামের উপরে ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানোর কথা ঘোষণা করেছে। যাতে ভারত থেকে ১০০ কোটি ডলারের রফতানি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)