নিজের দেশেই কি হাসির খোরাক হয়ে উঠছেন? —ফাইল চিত্র।
কল্পনার রাজ্য বাস করছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। এ মন্তব্য কোনও ভারতীয়ের নয়। কাশ্মীর প্রসঙ্গ টেনে এই মন্তব্য খোদ পাক সংবাদমাধ্যমেরই। কাশ্মীরের পাকিস্তান-ভুক্তির কথা ঘোষণা করেছেন নওয়াজ।। কিন্তু কী ভাবে ভারতের হাত কাশ্মীরকে ছিনিয়ে নিয়ে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করা হবে, তা স্পষ্ট করে বলতে পারেননি। সে প্রসঙ্গেই পাকিস্তানের সংবাদপত্র ‘ডেইলি টাইমস’ তীক্ষ্ণ ভাষায় আক্রমণ করেছে নওয়াজকে। সংবাদপত্রটির সম্পাদকীয়তে পাক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি পরামর্শ— বড় বড় কথা না বলে বাস্তবসম্মত সমাধান খুঁজে বার করুন।
হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর কাশ্মীর উপত্যকা উত্তপ্ত হতেই প্ররোচনা দিতে শুরু করেছে পাকিস্তান। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ প্রথমে ঘোষণা করেন, কাশ্মীরের স্বাধীনতার জন্য সব রকমের নৈতিক, রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক সমর্থন পাকিস্তান দেবে। তার পর কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার অত্যাচারের নিন্দা করে পাকিস্তানে ‘কালা দিবস’ পালনের ডাকও দেন নওয়াজ শরিফ। এতেই থামেননি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। কাশ্মীরকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেও ঘোষণা করেছেন। নওয়াজের সেই মন্তব্যই তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছে। ‘ডেইলি টাইমস’-এর সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘‘এই মন্তব্য বাগাড়ম্বর বা বাগযুদ্ধ (ভারতের সঙ্গে) ছাড়া আর কিছুই নয়।’’ সংবাদপত্রটিতে আরও লেখা হয়েছে, ‘‘এই সব কল্পনাকে প্রশ্রয় দেওয়ার বদলে প্রধানমন্ত্রী উচিত ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করা, কী ভাবে আঞ্চলিক সমস্যাগুলির সমাধান করবেন।’’ নওয়াজ কী ভাবে কাশ্মীরকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করবেন, তা ঘোষণা করেননি। তাই পাকিস্তানের খবরের কাগজটিতে লেখা হয়েছে, ‘‘কোনও স্পষ্ট নীতি ছাড়াই কাশ্মীরের অন্তর্ভুক্তির কথা ঘোষণা করা অর্থহীন।’’ সেখানে আরও লেখা হয়েছে, ‘‘এই ধরনের মন্তব্য করে নওয়াজ পাকিস্তানের জন্য সমস্যা তৈরি তো করছেনই, একই সঙ্গে কাশ্মীরিদের বিপদও বাড়াচ্ছেন।’’
আরও পড়ুন: গত ৪১ দিনে ২৩টি জঙ্গি হামলা, নিহত ৯২৭, ‘লোন উলফ’ ১৩
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোনও উন্নতি যে পাকিস্তান গত ৬৭ বছরে করেনি, সে কথাও লেখা হয়েছি পাকিস্তানি সংবাদপত্রে। আরও কিছুটা জমি দখল করার চেষ্টা না করে, পাকিস্তানের উচিত ছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে একটা ‘মডেল রাজ্য’ হিসেবে গড়ে তোলা। যুদ্ধ অথবা আলোচনা, এই দু’টির কোনও একটি পথে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে সম্পাদকীয় প্রতিবেদনটিতে লেখা হয়েছে। নওয়াজকে আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান খোঁজার পরামর্শও দিয়েছে খবরের কাগজটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy