এইচ-১বি ভিসা প্রোগ্রাম সম্পূর্ণ ভাবে ‘তুলে দিতে’ এ বার বিল আনার প্রস্তাব দিচ্ছেন হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভসের কংগ্রেস সদস্য মার্জোরি টেলার গ্রিন। সম্প্রতি এইচ-১বি ভিসাকে সমর্থন জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছিলেন, আমেরিকায় ‘মেধার অভাব রয়েছে’, তাই এইচ-১বি ভিসার মাধ্যমে কিছু সংখ্যক প্রতিভাবান কর্মীকে নেওয়াই যায়। তার পরেই শুক্রবার এই বিল আনার কথা বলেছেন কংগ্রেস সদস্যা।
মার্জোরির কথায়, “আমেরিকানরা বিশ্বের মধ্যে সব চেয়ে বেশি মেধাবি।” তাই ট্রাম্প যখন মন্তব্য করেন যে আমেরিকায় ‘মেধা, প্রতিভার অভাব’ থাকায় বিদেশি প্রতিভা আনা প্রয়োজন, তখন কার্যত প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের বিরুদ্ধেই গিয়েছেন তিনি। গ্রিনের দাবি, যে ভিসা ব্যবহার করে ‘অস্থায়ী ভাবে’ কর্মী নিয়োগ করার কথা ছিল এক সময়ে, বর্তমানে ‘দুর্নীতি’র কারণে সেই ভিসার সাহায্যেই অসংখ্য বিদেশি ঢুকে পড়ছে আমেরিকায়। তাঁর মতে, এইচ-১বি ভিসার ‘অপব্যবহার’ করে নানা সময়ে প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং বা স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিদেশ থেকে কর্মী আনে আমেরিকান সংস্থাগুলি। এর ফলে, আমেরিকান কর্মীদের বদলে অনেকটাই কম খরচে কর্মী নিয়োগ করতে পারে তারা। একই সঙ্গে আমেরিকানদের কাজের সুযোগ কমে আসে। তাঁর প্রস্তাবিত নয়া বিলের মাধ্যমে এই ‘অপব্যবহার’ বন্ধ করা যাবে।
এ দিন একটি সাক্ষাৎকারে গ্রিন এই বিল প্রসঙ্গে বলেন, “আমেরিকানদের উপরে আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমি সব সময়ে তাঁদেরই প্রাধান্য দেব”। গ্রিন আরও বলেন, তাঁর বিল এই ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ এইচ-১বি ভিসা প্রোগ্রামকে ধাপে ধাপে বাতিল করে দেবে। গ্রিনের মতে, এত দিন কার্যত ‘দুর্নীতি’ করেই এই ভিসার মাধ্যমে বহু বিদেশিকে আমেরিকায় থাকার এবং কাজ করার সুযোগ করেদেওয়া হয়েছে।
এই ক্ষেত্রে অবশ্য ছাড় পেতে পারেন কিছু নির্দিষ্ট পেশার মানুষ, যেমন চিকিৎসক, নার্স, অর্থাৎ এমন পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন যাঁরা আমেরিকানদের ‘প্রাণ’ বাঁচাতে কাজ করেন। গ্রিন জানিয়েছেন, প্রতি বছর ১০ হাজার এমন মানুষকে দেশে থাকতে দেবে এই নয়া বিল। তবে এ ক্ষেত্রেও, আগামী ১০ বছরের মধ্যে সেই সংখ্যা ব্যাপক ভাবে কমিয়ে আনা হবে। গ্রিনের মতে, ওই ১০ বছরের মধ্যে অনেক আমেরিকান চিকিৎসক, নার্সের কাজে দক্ষ হয়ে উঠবেন। ফলে আর ‘বাইরের মেধা’র প্রয়োজনহবে না।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)