নিকোলোাস সারকোজি। —ফাইল চিত্র
দুর্নীতির অভিযোগে ফ্রান্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজিকে ৩ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল একটি ফরাসি আদালত। তবে ৩ বছরের মধ্যে ২ বছররে কারাদণ্ড মকুব করা হয়েছে। ফলে শারীরিক ভাবে জেলে যেতে হবে না সারকোজিকে।
কী অভিযোগ সারকোজির বিরুদ্ধে? ২০০৭ সালের ভোটের প্রচারের জন্য ল’রিয়েল এর উত্তরাধিকারীর কাছ থেকে বেআইনি অর্থ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সারকোজির বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। তদন্ত চলাকালীন একটি ফোন নম্বরে আড়ি পাতেন তদন্তকারীরা। তাতেই এই লেনদেনের কথোপকথন ধরা পড়ে। পরে তদন্তে প্রমাণিত হয়, একটি ভুয়ো নামে ওই ফোন নম্বর নথিবদ্ধ করা হয়েছিল। পাশাপাশি তদন্ত চলাকালীন ভিতরের খবর দেওয়ার জন্য এক বিচারপতিকে বড় চাকরির টোপ দেন সারকোজি।
সেই মামলাতেই সোমবার প্যারিসের একটি আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। সরকার পক্ষের আইনজীবী চার বছরের কারাদণ্ড দাবি করেন। তবে সেই আর্জি টেকেনি। ফ্রান্সের নিয়ম অনুযায়ী ২ বছর বা তার বেশি সাজা হলে কারাবাস বাধ্যতামূলক। তবে তার কম সাজা হলে বাড়িতেও সাজা কাটানো যায়। বিচারপতি সেই সুযোগ দিয়েছেন। সারকোজির আইনজীবীরা সেই আবেদনই করতে চলেছেন বলে খবর।
২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ছিলেন সারকোজি। ২০১২ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও হেরে যান। ২০১২ সালের প্রচারেও বেআইনি ভাবে অতিরিক্ত অর্থ খরচের অভিযোগে একটি মামলা চলছে তাঁর বিরুদ্ধে। আগামী ১৭ মার্চ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে সেই মামলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy