নৌবাহিনীকে মজবুত করতে দেশীয় প্রযুক্তিতে অত্যাধুনিক রণতরী বানাচ্ছে উত্তর কোরিয়া! ধরা পড়ল উপগ্রহচিত্রে। নাম্পো নৌসেনা ঘাঁটিতে সেই রণতরী বানানোর কাজ চলছে। উপগ্রহচিত্র প্রকাশ্যে আসতেই হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে। নাম্পো নৌসেনা ঘাঁটিতে দাঁড় করানো রয়েছে সেই রণতরী। আমেরিকার একটি সূত্রের দাবি, যে রণতরীটি বানাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার প্রশাসক কিম জং উন তা আগের রণতরীগুলির তুলনায় অনেকটাই বড়। আর তা থেকেই অনুমান করা হচ্ছে, নতুন এই রণতরীকে অনেক বেশি শক্তিশালী এবং অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আমেরিকার সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ় (সিএসআইএস) ৬ এপ্রিল একটি উপগ্রহচিত্র প্রকাশ করেছে। সেই উপগ্রহচিত্র প্রকাশ করে আমেরিকা দাবি করেছে, কিমের দেশের পশ্চিম উপকূলে নাম্পো নৌঘাঁটিতে একটি বিশালাকার নির্মীয়মাণ রণতরী দেখা গিয়েছে। রণতরীটিকে এমন ভাবে ঢেকে রাখা হয়েছে যাতে কারও নজরে না পড়ে। ৪৫৯ ফুট দৈর্ঘ্যের ওই রণতরী উত্তর কোরিয়ার নৌবাহিনীর রণতরীগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় অনুমান করা হয়েছে।
রণতরীর আকার যা, তাতে সন্দেহ করা হচ্ছে, এটি হেলিকপ্টার বহনক্ষম। যদি সত্যিই তা-ই হয়, তা হলে উত্তর কোরিয়ার নৌবাহিনীর তালিকায় এটি দ্বিতীয় রণতরী যা হেলিকপ্টার বহনক্ষম। সমুদ্র এবং স্থলে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সমান ভাবে হামলা করা যাবে, এমন ব্যবস্থাও না কি করা হয়েছে রণতরীতে। আমেরিকার আর্লেই বার্ক শ্রেণির রণতরী দৈর্ঘ্যে ৫০৫ ফুট। কনস্টিলেশন শ্রেণির যে রণতরী রয়েছে সেগুলির দৈর্ঘ্য ৪৯৬ ফুট। যদিও সেগুলির থেকে আকারে ছোট অনেকেই মনে করছেন, উত্তর কোরিয়ার এই নয়া রণতরী ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, কিমের দেশ প্রযুক্তির দিক থেকেও নিজেদের আরও ধারালো করছে। আর এই ঘটনাই জল্পনা বাড়িয়েছে, সমুদ্রপথে নিজেদের আরও মজবুত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কিমের দেশ।